Ram Mandir: শ্রী রামের নামে রমরমিয়ে আর্থিক প্রতারণা! খুব সাবধান, পা দেবেন না এই ফাঁদে

Fraud Case: বহু পুণ্যার্থী ও ভক্তরা এই ওয়েবপেজে স্ক্যান করে হাজার হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। সম্প্রতিই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। ও'প্রান্ত থেকে ফোন রিসিভ করে কথাও হয়। এরপরই প্রতারণার বিষয়টি সাফ হয়।

Ram Mandir: শ্রী রামের নামে রমরমিয়ে আর্থিক প্রতারণা! খুব সাবধান, পা দেবেন না এই ফাঁদে
রাম মন্দির।Image Credit source: Twitter

|

Jan 01, 2024 | 6:51 AM

অযোধ্যা: আর মাত্র দুটো সপ্তাহ। তারপরই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir)। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বাড়তে শুরু করেছে ভিড়। রাম মন্দিরের উদ্বোধন হলেই ঢল নামবে পুণ্যার্থীদের। কিন্তু এই রাম মন্দিরকে ঘিরেই শুরু হয়েছে এক নতুন ধরনের প্রতারণা। ভক্তদের কাছ থেকে রাম মন্দিরে আর্থিক অনুদানের নামে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা। এভাবেই লক্ষাধিক টাকার আর্থিক প্রতারণা হচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকতেও সতর্ক করা হয়েছে, যাতে তারা এই ফাঁদে পা না দেন।

নতুন বছরে নতুন প্রতারণা, তাও আবার শ্রী রামের নামে। এমনটাই বলছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনসল এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পেজের ছবি শেয়ার করেন। ওই পেজের নাম শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র অযোধ্যা, উত্তর প্রদেশ। ওই পেজে একটি কিউআর কোডও দেওয়া, যেই কোড স্ক্যান করে ভক্তদের রাম মন্দির নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান দিতে বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বহু পুণ্যার্থী ও ভক্তরা এই ওয়েবপেজে স্ক্যান করে হাজার হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন। সম্প্রতিই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। ও’প্রান্ত থেকে ফোন রিসিভ করে কথাও হয়। এরপরই প্রতারণার বিষয়টি সাফ হয়। ফোনের ও’প্রান্ত থেকে বলা হয়, “আমরা অযোধ্যা থেকে বলছি। নিজের ও পরিবারের নামে যথাসম্ভব খোলা হাতে দান করুন। আপনাদের নাম ডায়রিতে রেজিস্টার থাকবে। যখন মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে, আপনাদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হবে।”

প্রতারকরা ধর্মীয় বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টা করছে বলেও দাবি করে ভিএইচপি। জানানো হয়েছে, প্রতারকদের সঙ্গে যখন কথা বলা হচ্ছিল, তখন তারা অনুদান হাতানোর জন্য বলে, “আপনারা তো জানেন এই মন্দির নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ। মুসলিম সম্প্রদায় এই মন্দির তৈরি হতে দিতে চাইছে না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে অর্থ সংগ্রহ করছি।”

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ন্যাসের তরফে কাউকে অনুদান সংহগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়নি।এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এছাড়া উত্তর প্রদেশ পুলিশ ও দিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। সাধরণ মানুষকেও এই প্রতারণা থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে।