কাশ্মীর: লস্কর বা জইশ নয়, উপত্যকায় এনকাউন্টার অভিযানে সেনাবাহিনীর নয় জওয়ানের মৃত্য়ুর দায় স্বীকার করে নিল নতুন এক জঙ্গি গোষ্ঠী। সোমবারই ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে একটি ভিডিয়ো বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নতুন ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর নাম পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (Peoples Anti Fascist Front)।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) একাধিক জঙ্গি হামলা চলছে। পাল্টা জবাবে পুলিশ, সেনাবাহিনীর তরফেও বিভিন্ন জায়গায় এনকাউন্টার অভিযান চালানো হচ্ছে। গত ১৬ অক্টোবর পুঞ্চের মেন্ধার এলাকায় নার খাস জঙ্গলে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces)। কিন্তু গুলির লড়াইয়ে সুবেদার অজয় সিং ও নায়েক হরেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু হয়। তার আগের দিনও বিক্রম সিং নেগি (২৬) ও যোগম্বর সিং (২৭) নামক দুই জওয়ানের মৃত্যু হয় জঙ্গি সংঘর্ষে।
গত ১১ অক্টোবর পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও চার জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। মৃত জওয়ানরা হলেন নাইব সুবেদার জসবিন্দর সিং, নায়েক মনদীপ সিং, গজ্জন সিং, সরজ সিং ও বৈশাখ এইচ। এদের মধ্যে জুনিয়র কমিশনড অফিসার ও অপর এক জওয়ানের দেহ ৪৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়। জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে ভেবে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল। সেই অভিযান চলাকালীনই দুই সহযোদ্ধাকে উদ্ধার করেন জওয়ানরা। গত ১০ অক্টোবর নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুলি চালায় যে জঙ্গি গোষ্ঠী, ওইদিনও তাদের সঙ্গেই গুলির লড়াই চলেছিল বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু একদিকে পাহাড়ি এলাকা ও অন্যদিকে ঘন জঙ্গল থাকায়, প্রকৃতির এই সৃষ্টির সুবিধা নিয়েই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল জঙ্গিদের দল। তবে চলতি সপ্তাহের সোমবার তারা নিজেরাই ভিডিয়ো প্রকাশ করে জানায় যে সেনা জওয়ানদের হত্যার পিছনে তাদেরই হাত ছিল। একইসঙ্গে এও জানায় যে, তারা একটি নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী। পিপলস অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট হিসাবেই তারা নিজেদের পরিচয় দেয়।
সেনাবাহিনীর তরফে পুঞ্চ ও রাজৌরি জুড়ে ব্যপক তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতিমদ্যেই বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটকও করা হয়েছে, যারা জঙ্গিদের আশ্রয় ও অন্যান্য় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।