
লখনউ: লাখ লাখ টাকা খরচ করে, ধুমধাম করেই হয়েছিল বিয়ে। পাত্রপক্ষের দাবি মেনে হাত খুলে যৌতুকও দিয়েছিল পাত্রী পক্ষ। কিন্তু ফুলসজ্জার রাতেই এমন ঘটনা ঘটল যে কাঁদতে কাঁদতে ঘর ছাড়ল নববধূ। সঙ্গে সঙ্গেই ফোন করে ডাকেন পরিবারের সদস্যদের। গভীর রাতেই ফিরে এলেন বাপের বাড়ি। কী এমন হল ফুলসজ্জার রাতে?
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদের। সেখানে ফুলসজ্জার রাতেই এক যুবতী কাঁদতে কাঁদতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, সমস্যা মেটেনি। যুবতী ওই রাতেই ফোন করে ডাকেন তাঁর মা-বাবাকে। দিনকয়েকের মধ্যেই পাকাপাকিভাবে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন যুবতী।
জানা গিয়েছে, আগ্রার বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে প্রেম করেই বিয়ে হয়েছিল ফিরোজাবাদের যুবকের। কিন্তু ফুলসজ্জার রাতে যুবতী তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বামী তাঁকে সরিয়ে দেয়। বলে, তাঁকে নয়, অন্য কাউকে ভালবাসে সে।
প্রথমে স্বামীর কথা বিশ্বাস করতে চায়নি স্ত্রী। কিন্তু এরপরই স্বামী মোবাইলে প্রেমিকার ছবি দেখায়। ওই ছবি দেখেই পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যায় নববধূর। কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন ঘর থেকে। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা প্রথমে যুবতীকে শান্ত করতে চান। যুবতী রাতেই তাঁর মা-বাবাকে ডাকেন। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেলেও, দিন কয়েকের মধ্যেই আবার অশান্তি বাঁধে। যুবতী শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসে। এরপর পুলিশে প্রতারণার অভিযোগ জানানো হয়।
নববধূর অভিযোগ, ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ করে বিয়ে দেয় আমার মা-বাবা। যৌতুকও দেওয়া হয়। কিন্তু ফুলসজ্জার রাতে স্বামী জানায় যে অন্য কাউকে ভালবাসে ও। শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেও, স্বামীর আচরণে কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং প্রতিবাদ করলে, স্বামী মারধর করে তাঁকে। এরপরই বাড়ি ছেড়ে চলে আসে যুবতী। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবতী।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)