মুম্বই: ঠিক কী ঘটেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারির রাতে, তা জানতে একচুলও গাফিলতি রাখল না তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। এরপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এ বার ঘটনার পূণর্নিমাণও করল মুম্বই পুলিশ ও এনআইএ। শুক্রবার রাতেই ধৃত সচিন ভাজ়েকে অম্বানীর বাড়ির সামনে ঘটনাস্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ও পিপিই কিট (PPE Kit) পরিয়ে গোটা ঘটনাটি রেকর্ড করা হয়।
বিস্ফোরক উদ্ধারের পরই বিগত ২২ দিন ধরে মুকেশ অম্বানীর বাড়ি “অ্যান্টিলিয়া”কে কড়া নিরাপত্তার জালে ঘিরে ফেলেছে মুম্বই পুলিশ। শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ কার্মিক্যাল রোড বন্ধ করে দেয় মুম্বই পুলিশ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ২৪ ফেব্রুয়ারির সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে, টেপ দিয়ে দূরত্ব মেপে চকের দাগ কাটে রাস্তায়। সেদিনের ঘটনার সঠিক আন্দাজ পেতে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দলও ঘটনাস্থানে আসেন। একজন মই বেয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশে দাঁড়ান, আরেকজন গাড়ির তলায় শুয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ‘বাক স্বাধীনতায় আঘাত’, অধ্যাপকের ইস্তফা প্রসঙ্গে মন্তব্য রাজনের
১০.৪০ নাগাদ ঘটনাস্থানে নিয়ে আসা হয় ধৃত মুম্বই পুলিশ অফিসার সচিন ভাজ়ে(Sachin Vaze)-কে। ২৪ ফেব্রুয়ারির রাতে সিসিটিভি ফুটেজে যে পিপিই কিট পরা ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল, তা সচিন ভাজ়ে ছিলেন কিনা, বুঝতে তাঁকেও পিপিই কিট পরিয়ে ও মাথায় রুমাল বেঁধে ঘটনাস্থানে হাটানো হয়। মাঝপথে কিছুটা টলোমলোও হয়ে যান সচিন। তবে কিছুক্ষণেই নিজের ভার সামলে ফের হাঁটতে থাকেন তিনি।
গোটা ঘটনাটি চলার সময় সমস্ত গাড়ির লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়, স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বাড়ির ভিতরেই থাকতে অনুরোধ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নিমাণের পর ফের পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সচিন ভাজে়কে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্র পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিক মনসুখ হিরেনের মৃত্যুর তদন্তও এনআইএ নিজের হাতে তুলে নিল।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় জরিমানা, টাকার বদলে ঘুসি মারলেন অভিযুক্ত মহিলা