নয়া দিল্লি: কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চাপান-উতোরের মাঝেই খালিস্তানিপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান কেন্দ্রের। বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ(NIA)। খালিস্তানি (Khalistani) গ্যাংস্টারদের খোঁজে পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি-এনসিআর, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। পঞ্জাবের ৩০টি জায়গা, রাজস্থানের ১৩টি জায়গা, হরিয়ানার ৪ জায়গা, উত্তরাখণ্ডের ২ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়াও দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। মোট ৫০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভারতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক মদত দিচ্ছে ভিন দেশে বসে থাকা খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ও কিছু গ্যাংস্টাররা। হাওয়ালার মাধ্যমে টাকার পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র পাচার করা হচ্ছে ভারতে। এই সমস্ত কার্যকলাপের সঙ্গে খালিস্তানি যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। সেখান থেকেই আজ এনআইএ-র এই তল্লাশি অভিযান।
অপর একটি সূত্রে খবর, তদন্তকারী সংস্থার কাছে খালিস্তানি-আইএসআই যোগের তথ্য প্রমাণও রয়েছে। ইউএপিএ-র অধীনে জেলবন্দি জঙ্গি ও খালিস্তানি নেতাদের জেরা করে জানা গিয়েছে, খালিস্তানপন্থী ও গ্যাংস্টারদের এই জোট বিদেশের মাটি থেকে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত, অস্ত্র সরবরাহ ও দেশবিরোধী কার্যকলাপে সাহায্য করত।
সম্প্রতিই কানাডায় নাগরিকত্ব পাওয়া খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্য়ু ঘিরে ভারতের সঙ্গে কানাডার তুমুল বিরোধ বাধে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের যোগ থাকতে পারে। ভারতের তরফে এই অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনআইএ-র অভিযান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।