
শ্রীনগর: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তদন্ত করছে এনআইএ। বৈসরনে থ্রিডি ম্যাপিং করেছে তারা। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। হামলার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও, এখনও অধরা জঙ্গিরা। এরই মধ্যে এনআইএ-র নজর একটি বন্ধ দোকানের দিকে। কেন সন্দেহ এই দোকান নিয়ে?
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈসরনে হামলার মাত্র ১৫ দিন আগে একটি দোকান খুলেছিলেন এক ব্যক্তি। ঘটনার দিন তার দোকান বন্ধ ছিল। এতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। হামলার সময় কোথায় ছিলেন ওই ব্যক্তি? কে এই ব্যক্তি? কী তাঁর পরিচয়? স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখছে এনআইএ।
হামলার পরই স্থানীয় দোকানদার, হোটেল মালিকদের জেরা করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ স্থানীয় বাসিন্দাদের থানায় তুলে এনে জেরা করা হয়েছে। ওই সময়ে তারা কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন, তা মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা হয়েছে। ফোনে কাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাও খতিয়ে দেখেছে এনআইএ। এই জেরাতেই উঠে এসেছে সন্দেহজনক ওই দোকানের প্রসঙ্গ।
জানা গিয়েছে, বৈসরনে জঙ্গি হামলার ১৫ দিন আগেই পহেলগাঁও বাজারে একটি দোকান খুলেছিল। যেদিন হামলা হয়েছিল, সেদিন সকাল থেকেই ওই দোকান বন্ধ ছিল। ওই ব্যক্তি কোথা থেকে এসেছিলেন, কী উদ্দেশে দোকান খুলেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনআইএ-র সন্দেহ, জঙ্গিরা এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরেই লুকিয়ে রয়েছে। ঘন ঘন তারা নিজেদের লোকেশন বদলাচ্ছে। চেষ্টা করছে পাক অধীকৃত কাশ্মীরে পালিয়ে যাওয়ার। গতকালই কলম্বো বিমানবন্দরে ভারতের একটি বিমান তল্লাশি করা হয়। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, ওই বিমানে করেই ভারত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারপরই তল্লাশি। তবে ওই বিমানে সন্দেহভাজন কারোর হদিস মেলেনি।