
নয়া দিল্লি: কোনও ব্র্য়ান্ড নয়, চিকিৎসকরা শুধুমাত্র জেনেরিক মেডিসিনই প্রেসক্রাইব করতে পারবেন। কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। রাজস্থানে এই নির্দেশ দেওয়া ছিল, শীর্ষ আদালত সেই নির্দেশ গোটা দেশেই বহাল করার পরামর্শ দিল।
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি ব্যবসার জন্য যে অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে, তা রুখতেই নির্দিষ্ট নিয়মের আবেদন জানিয়ে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতেই শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, কোনও ব্র্য়ান্ডের উল্লেখ না করে, চিকিৎসকদের উচিত জেনেরিক ওষুধের নাম লেখা।
বিচারপতি সন্দীপ মেহতা, বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। বিচারপতি সন্দীপ মেহতা পর্যবেক্ষণ রাখেন, “যদি এই নির্দেশ সমগ্র দেশে চালু হয়, তবে এটা বিরাট পরিবর্তন আনবে।”
শীর্ষ আদালতে দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছিল, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলি চিকিৎসকদের ঘুষ দেন যাতে তারা রোগীদের নির্দিষ্ট কোনও দামি ওষুধ বা অতিরিক্ত ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। এতে সাধারণ মানুষের যেমন খরচ বাড়ে, তেমনই ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগে শরীরে খারাপ প্রভাব পড়ে বা ওষুধের উপরে নির্ভরশীলতা বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের এই বিনামূল্যে দেওয়া নানা জিনিস বা উপঢৌকন দেওয়ার জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিকে দায়বদ্ধ করা উচিত।
এই মামলার আগের শুনানিতেই ফেডারেশন অব মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছিল ডোলো ৬৫০ ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা চিকিৎসকদের উপঢৌকনের পিছনে ১০০০ কোটি টাকা খরচ করেছে।
শীর্ষ আদালত বলে যে শুধুমাত্র জেনেরিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করার নির্দেশ থাকলে, তবেই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলির চিকিৎসকদের ‘ঘুষ’ দেওয়ার ইস্যুর সমাধান হবে। রাজস্থানেও এই নিয়ম রয়েছে যে চিকিৎসকরা শুধুমাত্র জেনেরিক ওষুধই প্রেসক্রাইব করতে পারেন।