নয়া দিল্লি: রেল ভারতবর্ষের (Indian Railway) ‘লাইফলাইন’ হিসেবেই পরিচিত। দেশের সিংহভাগ মানুষ কর্মক্ষেত্রই হোক বা অন্য কোনও প্রয়োজনে রেলের ওপরই অনেকটাই ভরসা করেন। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ট্রেনে চেপে যাওয়া অনেকটা সাশ্রয়ীও। সেই কারণে দূরপাল্লার ট্রেন ব্যবহারের বহুল প্রচলন রয়েছেন। এতদিন রেলে প্রবীণ নাগরিকদের অনেক সুযোগ সুবিধা মিলত, কিন্তু রেলমন্ত্রীর এক ঘোষণায় সেই সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) জানিয়েছেন, প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে রেলের ভাড়ায় যে ছাড় মিলত সেই ছাড় তুলে দেওয়া হয়েছে, এবং আগামী বেশ কিছুদিন এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, রেলের রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে রেল।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, “করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে রেল যে পরিমাণ আয় করেছে তা ২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই রেলের ওপর বেশ কিছু আর্থিক বোঝা রয়েছে। তাই রেল যদি প্রবীণ নাগরিকদের ভাড়ায় বাড়তি ছাড় দেয়, সেই আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে। সেই কারণে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে প্রবীণ নাগরিক সহ বেশ কিছু শ্রেণির যাত্রীদের ভাড়াতে কোনও রকমের ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়।”
রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, “এই আর্থিক বোঝা সত্ত্বেও রেলওয়ে বিভাগ দিব্যাঙ্গজন, রোগীদের ১১ টি বিভাগ ও ছাত্রছাত্রীদের ভাড়াতে ছাড় দিচ্ছে।” স্বাভাবিকভাবেই রেলমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রবীণ রেলযাত্রীদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়বে। কারণ প্রবীণদের আয়ের জোগান অনেকটাই কম। রেলে ভ্রমণ করে ভাড়ায় ছাড়ের সুবিধা মিললে, অনেক প্রবীণ নাগরিকদেরই সুরাহা হত। রেলমন্ত্রী তাদের জন্য কোনও সুখবর দিতে পারেননি। তবে অনেকেই মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে রেলের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতির বোঝা কিছুটা লাঘব হলেই আবার প্রবীণ যাত্রীদের সেই সুবিধা দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন Assam Encounter: কীভাবে করেছিল ধর্ষণ? ঘটনার জায়গায় অভিযুক্তকে নিয়ে যেতেই চরম পরিণতি