গোটা দেশের নজর আজ সংসদের উপরে। কারণ আজ, বৃহস্পতিবার সংসদের লোকসভায় আলোচনা হতে চলেছে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে। চলতি বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই সংসদ উত্তাল মণিপুর ইস্যু নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুর নিয়ে বক্তব্য রাখুক, এই দাবি জানিয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল বিরোধী শিবির। প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে টেনে আনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা ছিল ইন্ডিয়া জোটেরই। কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৌয়ের দেওয়া অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন লোকসভার স্পিকার। আজ থেকে আগামী ১০ অগস্ট অবধি এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। আজ লোকসভায় মণিপুর ইস্যু নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ‘অনুপযুক্ত’ আচরণের জন্য লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার পরই ধ্বনি ভোটে খারিজ হল অনাস্থা প্রস্তাব।
২০১৮ সালে আমি সংসদের এক সদস্যকে ২০২৩-এ অনাস্থা প্রস্তাব আনার কাজ দিয়েছিলাম। তিনি সেটা মান্যও করেছেন। কিন্তু, দেশ তাঁকে নিয়ে বেশ হতাশ। তিনি হোমওয়ার্ক করে আসেননি। সৃষ্টিশীলতা ছিল না। ২০২৮-এ আশা করি তিনি হোমওয়ার্ক করে আসবেন।
কংগ্রেসের আমলে মণিপুরে মাথা চাড়া দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদ। সেই সময় সরকারি দফতরে মহাত্মা গান্ধীর ছবি লাগাতে দেওযা হত না। জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেওয়া হত না।
রামমনোহর লোহিয়া অভিযোগ করেছিলেন ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তরপূর্বের উন্নয়ন করেননি জওহরলাল নেহরু। কংগ্রেস উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যের মনন বোঝেনি। কংগ্রেসের সবই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। যেখানে আসন বেশি, সেখানে তারা কিছু কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু যেখানে একটি-দুটি আসন ছিল, সেই জায়গাগুলির সঙ্গে সত ভাইয়ের মতো আচরণ করেছে কংগ্রেস।
ভারত মাতা সম্পর্কে কী সব ভাষার প্রয়োগ করা হচ্ছে। কারা করছে, যারা দেশকে তিনভাগে ভাগ করেছিল। দেশ তাদের ভুলে যায়নি। ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ স্লোগান য়ারা দেয়, তাদের সহায়তা করে এরা। কংগ্রেসের ইতিহাস ভারতমাতাকে ছিন্নভিতন্ন করার ইতিহাস।
যেভাবে সরকার চেষ্টা করছে, মণিপুরে শিগগিরই শান্তি ফিরবে। দেশকে আশ্বস্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী। মণিপুরের মানুষের কাছে আবেদন, সেখানকার মা-বোন-মেয়েদের বলছি, দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। মণিপুর ফের বিকাশের রাস্তায় চলবে
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বলার পরও, মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একটিও শব্দ খরচ না করার, প্রতিবাদে ওয়াকআউট করলেন বিরোধী সাংসদরা। প্রদানমন্ত্রী বললেন, আমরা শুধু মণিপুর নিয়েই আলোচনা চেয়েছিলাম। বিরোধীরা সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। অনাস্থা প্রস্বা আনলে, ট্রেজারি বেঞ্চের দায়িত্ব থাকে, দেশের আস্থা স্পষ্ট করা। তাই সব বিষয়েই বলতে হয়।
কংগ্রেসের অর্থনীতি সম্পর্কও আমি দেশকে সাবধান করতে চাই। দেশকে দেউলিয়া করে দেবে এরা। কোষাগার থেকে টাকা দিয়ে এরা ভোট কেনার চেষ্টা করে। সেই চেষ্টার ফল কী হয়, আমাদের আশপাশের দেশগুলিকে দেখুন, বুঝতে পারবেন।
প্রচার করছেন ‘মহব্বত কি দুকান’। দেশের মানুষ বলছে ‘লুটের দোকান’। এই দোকান থেকেই এমার্জেন্সি বিক্রি করা হয়েছিল। এই দোকান থেকেই সেনার অপমান করা হয়েছে। এই নতুন দোকানেও শিগগিরই তালা লাগবে।
অহঙ্কারি জোট পরিবারতন্ত্রের সবথেকে বড় বিজ্ঞাপন। বললেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশি হিউম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতীয় কংগ্রসের। ১৯২০ সালে তিরঙ্গা পতাকা নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করেছিল কংগ্রেস। প্রতীকও কতবার বদলেছে – গরু-বাছুর, হাত।
নিজেদের নামে পার্ক থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্প চালাতো কংগ্রেস। গরিবদের তাদের পরিবারের নাম চোখে পড়ে, কাজ চোখে পড়ে না।
ইন্ডিয়ার টুকরো করে দিয়েছেন আপনারা, আই ডট, এন ডট, ডি ডট, আই ডট, এ ডট। তামিলনাড়ুর এক নেতা দুদিন আগেই বলেছেন, তার জন্য ইন্ডিয়ার কোনও গুরুত্ব নেই। তাঁর কাছে তামিলনাড়ু ভারতের বাইরে।
আপনারা ভাঙা দেওয়ালে প্লাস্টার লাগাচ্ছেন, ব্যর্থ যন্ত্রে তেল দিচ্ছেন, কয়েক দশকের পুরোনো ভাঙাচোরা গাড়িকে বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন। আপনারা যার পিছনে চলেছেন, তিনি দেশের সংস্কার জানেন না। কাঁচা লঙ্কা-শুকনো লঙ্কার পার্থক্য জানেন না। কিন্তু, বিরোধীদের মধ্যে বেশ কিছু লোক আছেন, যাঁরা দেশের মেজাজ জানেন।
বেঙ্গালুরুতে আপনারা ইউপিএ-র অন্তিম সংস্কার করেছেন। আমার সেই সময়ই আপনাদের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করা উচিত ছিল।
কংগ্রেস নিজেদের অহঙ্কারে এত ডুবে গিয়েছে যে তারা মাটি দেখতেই পাচ্ছে না। বাস্তব ছবিটা হল, দেশের মানুষের আস্থা নেই কংগ্রেসের উপর। তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে শুরু করে দেশেের অধিকাংশ রাজ্যই দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসকে বর্জন করেছে। বারবার দেশের মানুষ কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
বিরোধীরা সবসময়ই অবিশ্বাসী। লালকেল্লা থেকে আমি যখন স্বচ্ছ ভারতের কথা বলেছিলাম, সেই সময় বিরোধীরা বলেছিল লালকেল্লা থেকে কী এই বিষয়ে বলার কথা? মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া – সব প্রকল্পের সময়ই তারা অবিশ্বাস দেখিয়েছিল। বিশ্বাস করত কাদেরকে? পাকিস্তান আমাদের উপর হামলা চালাত। তারপর দুহাত তুলে পালিয়ে যেত। বলত, আমরা করিনি। আর এরা পাকিস্তানের কথা বিশ্বাস করত। ভারত সম্পর্কে কেউ খারাপ কথা বললেই, বিরোধীরা তাদের কথা বিশ্বাস করে নেয়। ভারতের তৈরি কোভিড টিকার উপরও এদের বিশ্বাস ছিল না।
রিফর্ম, ট্রান্সফর্ম আর পারফর্ম আর সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম – এই ভাবেই আমরা দেশের অর্থনীতিকে এতটা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। এভাবেই আমরা দেশের অর্থনীতিকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে যাব।
আমরা দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছি। দায়িত্ববান বিরোধী হলে প্রশ্ন করত, কীভাবে তা হবে? এটাও আমাকেই শেখাতে হচ্ছে। বিরোধীরা বলতে পারত, আমরা এক নম্বরে নিয়ে যাব। কিন্তু, তারা তা করেনি। কংগ্রেসের সময় ভারত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০-১১ নম্বর জায়গায় থাকত।
গোপন বরদান পেয়েছে বিরোধীরা। যাদের তারা বদনাম করে, তাদের সবসময় ভাল হয়। বিরোধীরা বলেছিল ব্যাঙ্কিং সেক্টর ডুবে যাবে। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের লাভ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণ হল হ্যাল। হ্যালের ভবিষ্যৎ নিয়েও কী না কী বলেছিল বিরোধীরা। সর্বকালের সর্বোচ্চ লাভ হয়েছে হ্যালের। তৃতীয় উদাহরণ এলআইসি। বিরোধীরা বলেছিল, এলআইসি ডুবে যাচ্ছে। গরিবদের পয়সা ডুবে যাবে। আজ এলআইসি ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে।
একুশ শতাব্দীর এই সময়ে ভারতের সমস্ত স্বপ্ন পূর্ণ হবে। এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের প্রভাব দেশে আগামী হাজার বছর ধরে পড়তে থাকবে। এই সময়ে আমাদের সকলের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত, দেশের বিকাশ। আমরা ভারতের যুব সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত সরকার দিয়েছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। বলেছিলেন বিরোধী দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী। কিন্তু, এবার সবথেকে বড় বিরোধী দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীকে বলতেই দেওয়া হল না। মনে হয় কলকাতা থেকে কোনও ফোন এসেছিল। আমি অধীরবাবুর প্রতি পূর্ণ সমবেদনা জানাচ্ছি। কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
ডেন্টাল বিল, ডিজিটাল ডাটা প্রোটেকশন বিল, আদিবাসীদের নিয়ে বিলের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করেছে। এমও বিল ছিল যেটা বিশেষ করে কেরলের মৎসজীবীদের জন্য ছিল। এই ধরণের বিলের আলোচনায় অংশ নেওয়া উচিত ছিল বিরোধীদের। কিন্তু, বিরোধীদের কাছে দেশ নয়, দল বড়। গরিবদের পেটের খিদে নয়, তাদের কাছে ক্ষমতার খিদেই বড়। এটা বিরোধীরা প্রমাণ করে দিয়েছেন।
দেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের সরকারের প্রতি বারবার আস্থা প্রকাশ করেছেন। আমি আজ তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি। এই অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের পরীক্ষা নয়, বিরোধীদের ফ্লোর টেস্ট। লোক সভায় ভাষণ শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
লোকসভায় বিরোধী জোটকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি বলেন, ‘গতকাল, রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, মণিপুর ভারতের অংশ নয়। এই প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বকে গোটা বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। উত্তর-পূর্বের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ভারতকে বিভক্ত করে দেখার আদর্শ আপনাদের, আমাদের নয়।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দাখিল করল কংগ্রেস। অভিযোগ করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের কৃষি পরিবারের বিধবা মহিলা কলাবতী বান্দুরকার সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভায় দলের হুইপ মানিকম ঠাকুর, অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে এই বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন। ২০০৮ সালে রাহুল গান্ধী এই বিধবা মহিলার দুর্দশার কথা তুলে ধরেছিলেন।
অধীরের মন্তব্যে লোকসভায় তুমুল হট্টগোল। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম নীরব মোদী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু মনিপুরের ঘটনার পর দেখলাম নীরব মোদী আমাদের এই দেশেই বসে আছেন।” ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে অধীরের মন্তব্য সভার কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠল। দাবি মেনে রেকর্ড থেকে এই মন্তব্য বাদ দিলেন অধ্যক্ষ।
সাম্প্রদায়িকিকরণ, গেরুয়াকরণকে আমদের ‘কুইট ইন্ডিয়া’ বলতে হবে। লোকসভায় বললেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, মণিপুরের বিষয়ে প্রদানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ বলা উটিত ছিল।
তিনি লোকসভায় পা রাখতেই অধীর চৌধুরী বললেন, “দেখুন আমাদের অনাস্থা প্রস্তাবের জোর। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে লোকসভায় টেনে আনলাম। আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনার কোন পরিকল্পনা ছিল না। প্রধানমন্ত্রীকে আনার জন্যই আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হয়েছে।”
লোকসভায় এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিকেল ৪টে থেকে তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা
যাদের বিরোধী দল হওয়ার মতোই সংখ্যা নেই, তারা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। বললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে তাঁর প্রশ্ন, বাংলায় তাঁর দলেরও বহু কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। দিল্লিতে কেন তিনি তৃণমূল সাংসদদের মিষ্টি খাওয়ান? তিনি আরও বলেন, “কাদের সঙ্গে আছেন দাদা? চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িত এরা। রাজস্থান, বাংলা নিয়ে বলার সময় আপনাদের এনার্জি ড্রিঙ্ক ফুরিয়ে যায়?” মনরেগা নিয়ে সৌগত রায়ের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৪-এর আগে কংগ্রেস সরকার ৮ সালে ১৪,৯৮৫ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল। এনডিএ আমলে দেওয়া হয়েছে ৫৪,০০০ কোটি টাকা।
আমরা অনাস্থা এনেছি ভারতের সাম্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার মৌলিক ভিত্তি, ভাব প্রকাশের অধিকার, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের ধারনাকে পুনর্জীবিত করতে। বললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি আরও দাবি করলেন, মণিপুরের ঘটনা ভারতের অন্যান্য সব এলাকার ঘটনার থেকে আলাদা। কারণ এখানে এক সম্প্রদায়ের পুলিশ এবং মুখ্যমন্ত্রী আরেক সম্প্রদায়ের মহিলাদের জনতার হাতে তুলে দিচ্ছে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণ করার জন্য। তারা যাতে ন্যায়বিচার না পায়, তার সব চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ৩ মাসে ৬৫০০ এফআইআর – কোন রাজ্যে এটা দেখা যায়? অসম রাইফেল এবং মণিপুর রাজ্য পুলিশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। মণিপুরের হিংসা ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সবথেকে বড় ব্যর্থতা বলে চিহ্নিত করলেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বললেন, মণিপুরে হেট ক্রাইম চলছে, গৃহযুদ্ধ চলছে। হরিয়ানা নিয়েও আক্রমণ করলেন মহুয়া মৈত্র। এনডিে জোটকে সতর্ক করে তিনি আরও বলেন, “আমাদের ভোট শেয়ার ৬৩ শতাংশ। আমরা যদি ভয় না পাই, ৩৭ শতাংশ ভোট শেয়ারের দল জিততে পারবে না। আমরা ভীত নই।”
‘প্রধানমন্ত্রী আসায় আলাদা কী হবে? উনি কি পরমাত্মা? উনি কোন ভগবান নন।’ রাজ্যসভায় বললেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
চিন, গোরক্ষক মনু মানেসারদের ‘কুইট ইন্ডিয়া’ কবে হবে প্রশ্ন তুললেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য চলাকালীন লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করল ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। কংগ্রেস, ডিএমকে সহ একাধিক দলের সাংসদরা ওয়াক আউট করেন।
এনডিএ জমানায় ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে উন্নত করার পদক্ষেপ করা হয়েছে, লোকসভায় এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, “ইউপিএ জমানায় ব্যাঙ্কিং সেক্টরে যে আবর্জনা ছড়ানো হয়েছিল, তা পরিস্কার করেছে এই সরকার। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই কাজ করতে পারে। ক্ষমতায় আসার পরই আমরা বুঝেছিলাম যে ব্যাঙ্কিং সেক্টরের উন্নয়নের প্রয়োজন। সেই কারণে আমরা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করি। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলি পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে।”
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “কংগ্রেস যেখানে উন্নয়ন প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেখানে বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করেছে। বিগত নয় বছরে বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস সংযোগ, শৌচাগার থেকে শুরু করে বিমানবন্দর তৈরি, যাবতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে। তৈরি হবে, পাওয়া যাবের মতো শব্দ আর ব্যবহার করা হয় না। আজ সাধারণ মানুষ কী শব্দ ব্যবহার করেন? তৈরি হয়ে গিয়েছে, মিলেছে, এসে গিয়েছে। ইউপিএ জমানায় বলা হত বিদ্যুৎ আসবে, আজ সাধারণ মানুষ বলেন বিদ্যুৎ এসে গিয়েছে। ওঁরা বলত, গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে, আজ বলা হয় গ্যাস সংযোগ পাওয়া গিয়েছে…ওরা বলত বিমানবন্দর তৈরি হবে, আজ বিমানবন্দর তৈরি হয়ে গিয়েছে…”
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বললেন, “বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম ভারত। সম্প্রতি মর্গান স্ট্যানলির রিপোর্টেও ভারতের অর্থনীতির প্রশংসা করা হয়েছে। ২০১৩ সালে মর্গান স্ট্যানলি ভারতকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দুর্বল অর্থনীতির তালিকায় রেখেছিল। ভারতকে দুর্বল অর্থনীতি বলা হয়েছিল। আজ সেই মর্গান স্ট্যানলিই ভারতকে উচ্চ রেটিং দিয়েছে। মাত্র ৯ বছরে দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সংক্রমণ সত্ত্বেও আমাদের সরকার যে নীতিগুলি গ্রহণ করেছে, তার জন্য় দেশের অর্থনীতির উন্নতি হয়েছে। আজ আমরা বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীব অর্থনীতি।”
লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হল রাহুল গান্ধীর বক্তব্য। বুধবার লোকসভায় মণিপুর ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে “রাবণ” এবং “ভারত মাতাকে খুনে”র কথা বলেছিলেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হল। এর তীব্র আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। প্রতিবাদ জানিয়ে স্পিকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সূত্রের খবর, আজ নিজের বক্তব্যের সময় ফের ওই একই প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে পারেন অধীর। রাহুলের বক্তব্যের বাদ যাওয়া প্রসঙ্গ নিয়ে স্পিকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য দেখা করবেন অধীর সহ অন্যান্য কংগ্রেস সাংসদরা।
বিরোধীদের বিক্ষোভে দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা।
বিরোধীদের হই-হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভা। দুপুর ১২টা অবধি মুলতুবি লোকসভা।
দুপুর ১২টায় লোকসভায় বলবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বিজেপি নেতা অনিল অ্যান্টনি এ দিন রাহুল গান্ধীর ফ্লাইং কিস বিতর্ক নিয়ে বলেন, “রাহুল গান্ধী প্রতিদিন যে আচরণ করছেন, তাতে তিনি বারংবার প্রমাণ করছেন যে সংসদে থাকার যোগ্যতা নেই তাঁর। গতকাল সংসদে তাঁর আসল চরিত্র দেখা গিয়েছে। এই আচরণের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য রাজ্যসভায় ফার্মেসি (সংশোধনী) বিল ২০২৩ পেশ করবেন।
মণিপুর ইস্যু নিয়ে এতদিন নীরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সকালেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, “লোকসভা থেকে ২১ দিন নিখোঁজ থাকার পর মণিপুর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বলতে বাধ্য করা হচ্ছে।”
আজ অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় উঠবে বাংলার ইস্যু। বক্তব্য পেশ করবেন বাংলার বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী।
কংগ্রেসের তরফে আজ সংসদে বলবেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। গতকালই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কটাক্ষ করেছিলেন যে অধীর চৌধুরীকে বলার সুযোগ দিচ্ছে না কংগ্রেস।
অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের ঘরে বৈঠকে বসেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, আজ ফের মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করবে কংগ্রেস।
সংসদীয় অধিবেশন থেকেই মণিপুরের দুই সম্প্রদায়কে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমরা সেখানকার ডেমোগ্রাফি বদল করতে চাই না।”
মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়োটি দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন,
“কেন ঠিক বাদল অধিবেশন শুরুর আগের দিন সেটি প্রকাশ্যে এল সেই প্রশ্ন রয়েছে। ভিডিয়ো কারও কাছে থাকলে, তা পুলিশকে দেওয়া উচিত ছিল। আমি ৩ দিন ছিলাম, নিত্তানন্দ রাই ২৩ দিন ছিলেন।” তবে সবথেকে বেশি জাতি হিংসা হয়েছে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর আমলে হয়েছে বলেও জানান শাহ।
শরণার্থী সমস্যার জন্যই মণিপুরের এই অশান্তি বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতার নেই। মায়ানমার থেকে কুকি গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সদস্যরা ভারতে ঢুকতে শুরু করে। যার ফলে মণিপুরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা শুরু হয়। ১৯৬৮ সাল থেকেই চুক্তি আছে, দুই পারে ৪০ কিমি পর্যন্ত যে কেউ যেতে পারবে।” তবে মোদী সরকার এব্যাপারে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, “২০২২ সাল থেকেই আমরা কাঁটাতার লাগানো শুরু করি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আমরা তাদের পরিচয়পত্র দিতে শুরু করি।”
মণিপুরে হিংসার কথা স্বীকার করে নিলেন স্বকরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মণিপুরে হিংসার তাণ্ডব চলছে, বিরোধীদের সঙ্গে আমি একমত। যে ঘটনা ঘটেছে। তা লজ্জাজনক। কিন্তু, তা নিয়ে রাজনীতি করা আরও বেশি লজ্জাজনক।”
অধিবেশনের নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণ হয়নি। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণ করার জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন অধ্যক্ষ ওম বিড়লা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ উচ্চতার শিখরে পৌঁছেছে জানিয়ে অমিত শাহ বলেন, “১৪টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন মোদী, এটা দেশের মানুষের সম্মান।” তিনি আরও বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ারস্ট্রাইক কর পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে শিক্ষা দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর ভারত।”
আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন নরেন্দ্র মোদী। উজ্জ্বলা যোজনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোদী সরকারের কাজের পরিসংখ্যান দিয়ে ভারতের শ্রীবৃদ্ধি তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “অর্থনীতিতে বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে নিয়ে গিয়েছেন মোদী।”
এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে নাম না করে সরাসরি রাহুল গান্ধীকে তোপ দাগেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, “এই সভায় এক নেতা আছেন, তাঁকে ১৩ বার লঞ্চ করা হয়েছে, প্রত্যেকবার ব্যর্থ হয়েছেন।”
কংগ্রেস সরকারের গরিবী হটাও স্লোগানের প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহর কটাক্ষ, “গরিবী হটাও স্লোগান দিতে হয়নি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে, কারণ তিনি নিজেই গরীব ঘরের ছেলে। কিন্তু, জনধন প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিল কাটমানি খাওয়া ব্যক্তিরা।”
করোনা থেকে বাঁচতে দেশে লকডাউন করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর জন্য বিনামূল্যে রেশন চালু করেন বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, মোদীজির মধ্যে নিজেদের বন্ধুকে খুঁজে পান দেশের গরিব জনতা।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভারত জয়ী হয়েছে কারণ কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার ও ১৩০ কোটি দেশবাসী একসঙ্গে লড়াই করেছে। ভ্যাকসিন আসার পর রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদব সেটা ‘মোদী ভ্যাকসিন’ বলে নিতে বারণ করেছিলেন বলেও তোপ দাগেন অমিত শাহ।
কংগ্রেস সবসময় ক্ষমতা চায় বলে এদিন অভিযোগ তোলেন অমিত শাহ। পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধেও বিরোধীরা অনাস্থা এনেছিলেন জানিয়ে শাহ বলেন, “১৯৯৩ সালে নরসীমা রাও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। জেএমএম-কে ঘুষ দিয়ে সেই অনাস্থা প্রস্তাব জিতেছিলেন তিনি। ২০০৮-এ আস্থা ভোট করেছিল মনমোহন সরকার।” শাহের অভিযোগ, “সাংসদদের কোটি কোটি টাকার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। সাংসদরা সেই অর্থ প্রদানের কথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “১ ভোটের জন্য পরাজিত হয়েছিল বাজপেয়ী সরকার। আমরা সেই সময় অবৈধ পথে সরকার বাঁচানোর চেষ্টা করিনি।”
কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে অমিত শাহ বলেন, দুর্নীতি, পরিবারতন্ত্র এবং তুষ্টিকরণের রাজনীতি ঘিরে ধরেছিল ভারতের রাজনীতিকে। মোদী এই তিন অসুরকে পরাজিত করেছেন। কিন্তু কোথাও কোথাও থেকে গিয়েছে। তাই মোদী এই তিন বিষয়ে কুইট ইন্ডিয়া স্লোগান দিয়েছেন।”
অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দিয়ে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাল্টা বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। অনাস্থা প্রস্তাব খণ্ডন করে তিনি বলেন, “জনতাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। দেশবাসী সরকারের পাশে রয়েছে।কোথাও অবিশ্বাসের চিহ্ন নেই। স্বাধীনতার পর সবথেকে বেশি মানুষের আস্থা পেয়েছেন মোদী।”
দিনভর লোকসভায় সরকার ও বিরোধী পক্ষের আলোচনার পর বিকাল ৫টা নাগাদ বক্তব্য রাখতে ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিতেই বক্তব্য শুরু করেন অমিত শাহ।
মণিপুরকে খণ্ডন করা হয়েছে বলে এদিন লোকসভায় তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। তার জবাব দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দাবি, “মণিপুর বিভাজিত হয়নি, আর হবে না।” মণিপুরে হিংসা প্রসঙ্গে ‘ভারতমাতার হত্যা করা হয়েছে’ বলে রাহুল যে মন্তব্য করেছেন, তা নিন্দাজনক বলেও তোপ দাগেন স্মৃতি ইরানি।
বক্তব্যের শেষে ট্রেজারি বেঞ্চ ছাড়ার আগে রাহুল গান্ধী সংসদে উপস্থিত সাংসদদের উদ্দেশ্যে ‘ফ্লাইং কিস’ দেন। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রাহুলের এই আচরণ সংসদে উপস্থিত মহিলাদের কাছে সম্মানহানিকর বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদেশে যাঁরা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত, রাহুল গান্ধী বিদেশে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন বলে তোপ দাগেন স্মৃতি ইরানি। এপ্রসঙ্গে নাম না করে রবার্ট ভদরার কথাও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কংগ্রেস সরকারের জমানায় হওয়া টু-জি স্পেকট্রাম থেকে কয়লা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং সেই সময় আদানিদের সরকারি কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল বলে তোপ দাগেন তিনি।
মণিপুর নিয়ে সরকার আলোচনা করতে চায়। কিন্তু, বিরোধীরা সেই আলোচনা থেকে পালিয়ে যায় বলে তীব্র কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের পরই কেন্দ্রের তরফে পাল্টা ভাষণ দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মণিপুরকে ভাগ করা হয়েছে, ভারতকে হত্যা করা হয়েছে বলে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করেন স্মৃতি ইরানি। এরকম মন্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশকে অপমাণ করা হয়েছে বলে তোপ দাগেন স্মৃতি ইরানি।
মণিপুরকে ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্ত করে রাখা হয়েছে জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “ভারতীয় সেনা একদিনে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে পারে। সেনার প্রয়োগ ঠিকভাবে করা হচ্ছে না। মণিপুরে হিংসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার মায়ের হত্যা করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী দেশের কন্ঠস্বর শোনেন না। মোদী শুধু দুজনের কথা শোনে, অমিত শাহ এবং আদানির।”
মণিপুর নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিস্ফোরক মন্তব্যের পরই উত্তাল হয়ে ওঠে লোকসভা কক্ষ। ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে কিরণ রিজিজুর দাবি, রাহুল গান্ধীর দল ৬০ সাল ধরে উত্তর পূর্বের ক্ষমতায় ছিল। তাদের আমলেই জঙ্গি সংগঠনগুলি তৈরি হয়েছে। রাহুল গান্ধীর ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব হন বিজেপি সাংসদরা। ‘আচরণ সভার অনুপযুক্ত, এভাবে অধিবেশন চলে না’ এক বিরোধী সাংসদকে সতর্ক করলেন স্পিকার ওম বিড়লা। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন।
মণিপুরে শরণার্থী শিবিরের সন্তান হারানো দুই অসহায় মহিলার কথা তুলে ধরে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। মণিপুরে লাগাতার হিংসা প্রসঙ্গে শাসকদলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “মণিপুরকে নয়, ভারতকে মেরেছে। ভারতের হত্যা করেছে।”
মণিপুর নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে আমি মণিপুর গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী যাননি। কারণ, মণিপুর তাঁদের কাছে ভারত নয়। আজ মণিপুর দুটো ভাগ হয়ে গিয়েছে। আমি মণিপুরে ক্যাম্পে গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে, বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত করেননি।”
ভারত হল এই দেশের মানুষের কন্ঠস্বর, দুঃখ, অভাব। ভারত এই দেশের সমস্ত লোকের আওয়াজ। আমি ওই আওয়াজ শুনতে চাই। সমস্ত ঘৃণা, অহঙ্কার শেষ করতে চাই।
ভারত জোড়ো যাত্রা প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, “যখনই আমি ভেঙে পড়েছি, কোনও না কোনও শক্তি আমার কাছে এসেছে। ৮ বছরের একটি মেয়ে আমার সঙ্গে একটি মেয়ে দেখা করেছিল, একটি চিরকুট দিয়েছিল। তার মধ্যে লেখা ছিল, রাহুল আই অ্যাম ওয়াকিং উইদ ইউ। আমার পায়ের চোট তার শক্তিতে ঠিক হয়ে গিয়েছিল।”
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এখনও শেষ হয়নি। আবার হবে। লাদাখও যাবেন। বক্তব্যের শুরুতেই জানালেন রাহুল গান্ধী।
সংসদে বক্তব্যের শুরুতেই রাহুল গান্ধী বলেন, “আজ মাথা দিয়ে নয়, মন দিয়ে কথা বলব। শাসকদলকে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, আজ এত আক্রমণ করব না। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন।”
সংসদে বক্তব্য রাখতে উঠলেন রাহুল গান্ধী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্য রাখছেন তিনি।
দুপুর ১২টা নাগাদ সংসদে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। সংসদে পৌঁছেই তিনি সরাসরি লোকসভা কক্ষে যান। আজ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্য রাখবেন রাগা।
VIDEO | Congress MP Rahul Gandhi arrives in the Parliament. He is expected to speak in the no-confidence motion debate in Lok Sabha today. pic.twitter.com/yWYnSRKCjG
— Press Trust of India (@PTI_News) August 9, 2023
অধিবেশন শুরুতেই আজ ফের মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি থাকে।
আজ, বুধবার ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে সংসদে। এদিন রাহুল গান্ধী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। দুপুর ১২টা নাগাদ রাহুল গান্ধী বক্তব্য রাখতে পারেন বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
ভারত-চিন আলোচনার বিষয়ে সরকারের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া উচিত। লোকসভায় বললেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়াড়ি। তিনি বলেন, “ভারত ও চিনের মধ্যে ১৬টি সামরিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে? ভারত ও চিনের মধ্যে আলোচনা সম্পর্কে গোটা দেশের জানা উচিত।”
অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য বিরোধীদের অনুতাপ করতে হবে। এমনই দাবি করলেন কীরণ রিজিজু। তিনি বলেন, “বিরোধীরা ভুল সময়ে এবং ভুল পদ্ধতিতে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য অনুতাপ করতে হবে বিরোধী দলগুলিকে। বিশ্বব্যাপী ভারতের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি দেশকে ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবে। এটা দেশে-বিদেশে বসবাসকারী সমস্ত ভারতীয় বিশ্বাস। এই সময়ে, তারা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বর্ধনশীল বড় অর্থনীতিগুলির অন্যতম হল ভারত। আপনি বিজেপিকে অপছন্দ করতে পারেন, বিজেপি মতাদর্শের সঙ্গে একমত না হতে পারেন, তবে দেশের বৃদ্ধিকে আপনাদের সমর্থন করা উচিত।”
রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিল ইন্ডিয়া জোট। রাজ্যসভার অন্দরে বিরোধী দলগুলিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষিতে তিনি অসংসদীয় মন্তব্য করেছেন অভিযোগ করে এই নোটিশ দিল ইন্ডিয়া জোট। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বিষয়টি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পীযূষ গোয়েলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছিল বিরোধীরা। তিনি তা না মানায় এবং মণিপুর নিয়ে অবিলম্বে আলোচনা শুরু না করার প্রতিবাদে, এদিনের মতো কক্ষ ত্যাগ করেন বিরোধীরা।
মোদী সরকারের আগে সংসদে উত্তর-পূর্বের সাংসদদের বলতে দেওয়া হত না, বলে অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীরণ রিজিজু। তিনি আরও দাবি করেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে মোদী সরকারের আমলে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের সংখ্যা ৮০০ শতাংশ বেড়েছে। নতুন কোনও জঙ্গ সংগঠনও তৈরি হয়নি।
মণিপুরে রাষ্ট্রীয় মদতে হিংসা চলছে বলে অভিযোগ করলেন সপা বিধায়ক ডিম্পল যাদব। মণিপুরের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ কেন করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুললেন তিনি। উত্তর প্রদেশে মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে সংসদে আলোচনা চাইলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও মীনাক্ষী লেখিকেও আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গত সপ্তাহেই মীনাক্ষী লেখি বলেছিলেন, “শান্ত থাকুন, নাহলে ইডি আপনাদের বাড়িতে আসবে”। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন সৌগত রায়। দিল্লি নির্বাচনের সময় অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, “দেশকে গদ্দারোকো, গোলি মারো সালো কো”। সেই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেও আক্রমণ করেন সৌগত রায়।
সৌগত রায় আরও বলেন, “মণিপুরে সংখ্যালঘুদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এখনও অবধি ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬৫ হাজার মানুষ রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণধর্ষণ করা হয়েছে এবং রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিরুপায় হয়ে বসে আছেন। প্রধানমন্ত্রী সংসদেও আসছেন না, মণিপুরে যাচ্ছেন না। সেখানেই ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা মণিপুরে গিয়েছেন এবং ঘুরে পরিস্থিতি দেখেছেন।”
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অনাস্থা প্রস্তাবে বক্তব্য় রাখতে উঠে বলেন, “আমি এখানে বিবিসির ব্যান হওয়া ডকুমেন্টারি বা গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বলতে আসেনি। নির্বাচনে হারার পর বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ৭৩০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এই সরকারের কোনও হৃদয় নেই। বাংলায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন, কিন্তু মণিপুরে একজনও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেননি, যেখানে আমাদের ভাই-বোনেরা প্রাণ হারাচ্ছেন। আপনাদের কোনও মায়া-দয়া নেই, তাই অন্য দলের মতো আপনারা মণিপুরে যাননি। যারা ভারতকে ভালবাসেন, তারা এমনিতেই মোদীকে ঘৃণা করবেন। অনাস্থা প্রস্তাবে নিশিকান্ত দুবে একবারও মণিপুর নিয়ে কথা বলেননি।”
No Confidence Motion discussion | TMC MP Saugata Roy says, “This Government is government of the heartless. They are sending delegation to West Bengal on any plea. But not one delegation has gone to Manipur where our brothers and sisters are dying…You have no compassion and… pic.twitter.com/CDEvfQaaIY
— ANI (@ANI) August 8, 2023
ডিএমকে সাংসদ থালিকোট্টাই আর বালু অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় বলেন, “মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপ ও ব্রিটিশ সংসদও সমালোচনা করেছে। মণিপুরে ১৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন, তবুও প্রধানমন্ত্রী চুপ করে রয়েছেন। মণিপুর সংখ্য়ালঘু বনাম সংখ্য়াগুরুর লড়াই দেখছে। মণিপুর যখন জ্বলছিল, তখন আমার প্রিয় বন্ধু নরেন্দ্র মোদী কোথায় ছিলেন? অন্য সময় তো ওনার লড়াকু মনোভাব দেখা যায়। জনগণ ওনাকে সংসদে নির্বাচিত করে এনেছেন, তাহলে উনি আসছেন না কেন?”
কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি বলেন, “অনাস্থা প্রস্তাব কেন আনা হয়েছে? এই যে এখানে সনিয়া গান্ধীজি বসে রয়েছেন। আমি ওঁকে যথার্থ সম্মান দিয়েই বলছি, ওঁর দুটোই কাজ, ছেলেকে সেট করা এবং জামাইকে ভেট করা। ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে আয়কর বিভাগ তদন্ত করছে। ১ লক্ষ টাকা দিয়ে কী করে ৫ হাজার কোটির অফিস কেনা যায়, তা সনিয়া ও রাহুল গান্ধীই জানেন। আপনারা আয়কর তদন্তে এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন আর দেখুন বিজেপি সাংসদ সিদ্ধেশ্বর বসে রয়েছেন, উনি ৮০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছেন।”
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্যের শেষভাগে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এটা অনাস্থা প্রস্তাব নয়, এটা বিরোধীদের মধ্যেই আস্থাভোট। কতজনের সমর্থন রয়েছে, তা দেখার জন্যই অনাস্থা প্রস্তাব।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে ‘অসংসদীয় শব্দ’ ব্যবহারের অভিযোগ আনল বিরোধী জোট। ইন্ডিয়া জোট তাঁর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ নোটিস আনতে চলেছে।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “বিরোধী দলনেতারাই ইন্ডিয়ার ফুল ফর্ম জানেন না। যেকোনও সাংসদকে জিজ্ঞাসা করুন যে ইন্ডিয়ার ফুল ফর্ম কী, দেখুন বলতে পারেন কি না।”
মোদী পদবি নিয়ে রাহুল গান্ধীর সাজাপ্রাপ্তি ও তার উপরে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “কাল রাহুল গান্ধী সংসদে আসতেই এমন হাঙ্গামা করা হল…আরে উনি সংসদ থেকে গেলেনই কবে, যে ফিরে আসবেন। আমরা সবাই বাদল অধিবেশনে এসেছিলাম। এখানে উপস্থিত সকলের সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্ট কোনও চূড়ান্ত রায় দেয়নি। স্থগিতাদেশ দিয়েছে…প্রথম কথা উনি (রাহুল গান্ধী) বলেছেন ক্ষমা চাইবেন না। দ্বিতীয়ত, উনি বলেছেন আমি সাভারকর নই। আপনি কখনও সাভারকর হতেও পারবেন না..”
#WATCH | BJP MP Nishikant Dubey raises the issue of the Supreme Court staying Rahul Gandhi’s conviction in the ‘Modi’ surname remark case following which his membership was restored.
He says, “The Supreme Court has not given a judgement. It has given a stay order…He is saying… pic.twitter.com/7Q6UZ5Fxd9
— ANI (@ANI) August 8, 2023
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্যের শুরুতেই বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন, “হয়তো রাহুল গান্ধী আজ রেডি ছিলেন না বা ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়েছে। গৌরব গগৈ ভাল বলেছেন। মণিপুরের অশান্তির শিকার আমিও। আমার জ্যেঠুও আক্রান্ত হয়েছেন ওখানে।”
বিরোধীদের হই-হট্টগোলে দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি করে দেওয়া হল রাজ্যসভা।
বিজেপির জবাবি বক্তব্যের মাঝেই স্লোগান দেওয়া শুরু করলেন বিরোধী দলের নেতারা। ফলে মাঝপথে বক্তব্য থামিয়ে দিতে বাধ্য হলেন নিশিকান্ত দুবে।
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের অন্য় সাংসদরা বক্তব্য রাখবেন। আমি ধৈর্য ধরে আপনাদের কথা শুনেছি। এবার আপনারাও শুনুন। এরপরে রাহুল গান্ধী আর বলার সুযোগ পাবেন না। মণিপুর নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। আমি এই অনাস্থা প্রস্তাবের বিরোধিতা করছি।”
কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের বক্তব্যের পর বিজেপির হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বক্তব্য রাখতে উঠলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।