দেরাদুন: একই তাস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করছেন আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরীবালের (Arvind Kejriwal)। যা দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, কার্যত বিদ্যুৎ চালে নির্বাচনের বৈতরণী পার করতে চাইছেন তিনি। পঞ্জাবে বিদ্যুৎ সঙ্কটের কথা তুলেছিলেন আপ প্রধান। সফরে গিয়ে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও দিয়ে এসেছেন, তাঁর সরকার ক্ষমতায় এলে একটা বড় অংশের বিদ্যুতে ভর্তুকি পাওয়া যাবে।
নির্বাচনমুখী উত্তরাখণ্ডেও একই কায়দা কেজরীবালের। সেখানে তিনি ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ভর্তুকি ও লোডশেডিং বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপি ও কংগ্রেসকে কড়া নিশানা করেছেন তিনি। কেজরী বলেন, “বিজেপি ও কংগ্রেস এখানে গদির জন্য লড়াই করছে। কে উত্তরাখণ্ডের উন্নতির কথা ভাববে?” মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ দেগে তাঁর প্রশ্ন, “উৎপাদক রাজ্য হয়েও কেন এখানে এত বিদ্যুতের দাম বেশি?”
বিদ্যুতে ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে কেজরীবাল বলেন, “এটা নির্বাচনের জুমলা নয়। আমরা ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ভর্তুকি দেব।” এ ছাড়া তাঁর সরকার ক্ষমতায় এলে ৫ বছর পর্যন্ত কোনও কর বাড়বে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেজরীবাল। ২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডে নির্বাচন। তার আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন দেখেছে সে রাজ্য। অবশেষে ৪ মাসের মধ্যে তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন পুষ্কর সিং ধামি। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের পর উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিরথ সিং রাওয়াত।
নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রীর পদে বসার জন্যই বিধায়ক হওয়া প্রয়োজন। অথবা মন্ত্রিত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে উপ-নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। ১০ সেপ্টেম্বর সেই ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল তিরথের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য উপ-নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ায় এবং একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মেয়াদ শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়েছেন তিনি। সেই জায়গায় এখন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর। এরপর নির্বাচনে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা বলবে সময়। আরও পড়ুন: কে পাবেন পদ্ম পুরস্কার, ঠিক করুন আপনি, সুযোগ দিলেন স্বয়ং মোদী