নয়া দিল্লি: নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগেই, নির্বাচনের ফলের আভাস দেয় জনমত সমীক্ষা এবং বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি। ভোট গ্রহণের আগেই বিভিন্ন সমীক্ষা সংস্থাগুলি বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে জনগণের মেজাজ বোঝার চেষ্টা করেন। কিন্তু, এই সমীক্ষাগুলি ভোটের ফলে প্রভাব ফেলে বলে অভিযোগ করে, সংসদে জনমত সমীক্ষা এবং বুথ ফেরত সমীক্ষা নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট বা এআইইউডিএফ সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল। শুক্রবার, আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনমত সমীক্ষা এবং বুথ ফেরত সমীক্ষা নিষিদ্ধ করার কোনও ভাবনা নেই সরকারের।
অসমের সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল লিখিতভাবে পাঁচটি প্রশ্ন রেখেছিলেন আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুর উদ্দেশ্যে। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন,
১. জনমত সমীক্ষা এবং বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি কি প্রোপাগাণ্ডা এবং মিথ্যা দাবি প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠছে?
২. যদি তাই হয়, সেই বিষয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া কি?
৩. রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কি জনমত সমীক্ষা এবং বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি উঠেছে?
৪. সরকার কি আদর্শ আচরণবিধি জারির পর থেকে ভোটের ফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত জনমত সমীক্ষা এবং বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বিবেচনা করছে?
৫ যদি তা হয়, তাহলে তার বিশদ জানান। যদি তা না হয়, তাহলে তার কারণ কি?
এদিন এক লিখিত জবাবে আইন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশে মুক্ত ও অবাধ ভোট পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই ভোটের সময় বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির ফল প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর আধঘণ্টা না কাটলে বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। এর বাইরে জনমত সমীক্ষার উপর নতুন করে কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ভাবনা নেই সরকারের।