নয়ডা: রাতে একাই হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন, পথে হঠাৎ অনুসরণ করতে শুরু করেছিল দুই ব্যক্তি। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হয়নি। ফাকা রাস্তার ধারে ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে যুবতীকে গণধর্ষণ (Physical Assault) করেছিল দুই ব্যক্তি। পরেরদিন অর্ধনগ্ন ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই যুবতীকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু রীতিমতো কর্পূরের মতো উবে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। কিছুতেই তাদের নাগালে পাচ্ছিল না পুলিশ (Police)। ছয় মাস পরে সামান্য একটা ভুলেই অবশেষে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের গত ২১ জুলাই উত্তর প্রদেশের নয়ডার ফেজ-২ দিয়ে ফেরার সময় এক যুবতী গণধর্ষিত হন। তাঁর কাছ থেকে মোবাইল ও পার্সও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরেরদিন ওই যুবতীকে পথচলতি কয়েকজন মানুষ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যুবতীর বয়ানের উপরে ভিত্তি করেই পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে। তবে ছয় মাস পরে অভিযুক্তদের একটা ছোট্ট ভুলে নিজেরাই ধরা দিল পুলিশের কাছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ধর্ষিতা’ যুবতীর চুরি যাওয়া ফোনটি নিয়মিত ট্রাক করা হচ্ছিল। কিন্তু ঘটনার পর দিন থেকেই ফোন সুইচ অফ ছিল। ছয় মাস পরে, গত ২ জানুয়ারি হঠাৎ ফোনটি অন হয়। এরপরই লোকেশন ট্রাক করে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে, গত বছরের ২১ জুলাই অভিযুক্ত জশবন্ত কুমার ও তাঁর শ্যালক অভয় প্রতাপ এক যুবতীকে গণধর্ষণ করেন। মোবাইল ফোন ও পার্সও চুরি করে নেওয়া হয় ওই যুবতীর। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই এলাকার ৩০০-রও বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। ওই অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত ১৫০টি কারখানার এক হাজারেরও বেশি কর্মীকে জেরা করা হয়। কিন্তু কোনওভাবেই ওই অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অভিযুক্ত দুইজন বিগত ছয় মাস ধরে ওই যুবতীর ফোন সুইচ অফ রেখেছিল যাতে পুলিশ তাদের ট্রাক করতে না পারে।
সম্প্রতিই জশবন্ত কুমার মোবাইল ফোন অন করতেই পুলিশের কাছে খবর যায়। এরপরই নয়ডার সেক্টর-৮৮ র ফুলমান্ডি এলাকা থেকে জশবন্ত কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। অপর অভিযুক্ত অভয় কুমার এখনও নিখোঁজ বলেই জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত জশবন্তকে জেরা করে জানা গিয়েছে, নয়ডার ফেজ-২ তে একটি চায়ের দোকান রয়েছে তাদের। গত জুলাই মাসে তাঁরা ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে। এরপর থেকেই দুইজনে গা ঢাকা দিয়েছিল।