মুম্বই: বেআইনি আর্থিক লেনদেন ও প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে দুই বলিউড অভিনেত্রীর। ২০০ কোটির প্রতারণার মামলায় জড়িত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার জেরেই বারবার পুলিশ ও ইডির জেরার মুখে পড়ছেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ ও নোরা ফতেহি। ইতিমধ্যেই ইডির চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম উল্লেখ রয়েছে। ওই মামলাতে নোরা ফতেহিকে অভিযুক্ত নন, সাক্ষী হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এবার আরও কিছুটা স্বস্তি পেলেন ‘দিলবর গার্ল’। শুক্রবারই তাঁর পিআর টিমের তরফে দাবি করা হয় যে, দিল্লি পুলিশের তরফে আর্থিক প্রতারণা মামলায় ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে নোরা ফতেহিকে।
বৃহস্পতিবারই আর্থিক প্রতারণা মামলায় জেরার জন্য তলব করা হয় নোরা ফতেহিকে। দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের তরফে তাঁকে প্রায় ছয় ঘণ্টা জেরা করা হয়। এরপরই শুক্রবার তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। নোরা ফতেহির টিমের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর যে বিশাল আর্থিক প্রতারণা করেছিল, তার সঙ্গে জড়িত নন নোরা ফতেহি। সুকেশের এই অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কেও অবগত ছিলেন না নোরা, এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে তলব করেছিল দিল্লি পুলিশ। টানা আট ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়। এরপরই বৃহস্পতিবার নোরা ফতেহিও একই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তাঁকেও প্রায় ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। সুকেশের অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনও কিছু না জানলেও, পুলিশি তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করেছেন নোরা, এমনটাই জানিয়েছে তাঁর পিআর টিম।
তাঁদের দাবি, সুকেশ যে এত বড় আর্থিক প্রতারণার মূল চক্রী, সেই বিষয়ে কিছুই জানতেন না নোরা ফতেহি। যেই মুহূর্তেই তিনি বুঝতে পারেন যে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ চলছে, সেই মুহূর্তেই তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সুকেশের কাছ থেকে তিনি উপহারস্বরূপ যে দামি ব্যাগগুলি পেয়েছিলেন, তা ফেরত দিয়ে দেন।
এর আগে পুলিশি জেরায় নোরা ফতেহি জানিয়েছিলেন যে, তিনি কখনও সরাসরি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে দেখা করেননি। মূলত হোয়াটসঅ্যাপেই কথা হয়েছে কয়েকবার। সুকেশ তাঁকে বারবার ফোন করায়, তিনি ব্লক করে দেন। অন্যদিকে, নোরার জামাইবাবু ববি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে তিনি ৬৫ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বিএমডব্লু গাড়ি উপহার পেয়েছিলেন।