
আহমেদাবাদ: বড় কিছু হতে চলেছে। গুজরাটের উপকূল এলাকায় নোটাম জারি করল ভারতীয় নৌবাহিনী। রবিবার, ৪ মে থেকে বুধবার, ৭ মে পর্যন্ত এই নোটাম জারি থাকবে। কী হবে এই সময়ে? এই নোটাম-ই বা কী?
জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে বুধবার ভারতীয় নৌবাহিনী গুজরাটের উপকূলে মহড়া চালাবে। এই সময়ে একাধিক যুদ্ধজাহাজ থেকে মিসাইল এবং অন্যান্য অস্ত্র পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা হবে। সেই কারণেই নোটাম জারি করা হয়েছে।
নোটাম হল আসলে একটি নোটিস, যা বিমানের জন্য ইস্যু করা হয়। মহড়ার সময় মিসাইলের আঘাত বা সংঘর্ষ হতে পারে। সম্ভাব্য এই বিপদ নিয়েই তাই আগেভাগে পাইলটদের সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে তারা এই সময় নোটাম জারি করা এলাকা এড়িয়ে চলে।
সাধারণত নোটাম জারি হলে এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ থাকে রানওয়েও। এই সময়ে নেভিগেশন বা দিক নির্ণয়ের যন্ত্রও কাজ করে না। এদিকে বিমান চলাচলে এই প্রতিটি জিনিসই দরকারি। তাই নোটাম জারি হলেও, ওই এয়ারস্পেস এড়িয়ে চলে বিমান।
শুধুমাত্র নৌসেনাই নয়, যুদ্ধ প্রস্তুতি নিতে মহড়া দিচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনা ও সেনাবাহিনীও। দিন দুয়েক আগেই গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে তেজস, রাফাল, মিগ বিমান ওঠা-নামা করিয়েছে বায়ুসেনা। প্রস্তুত রয়েছে সেনাঘাঁটিগুলিও।
অন্যদিকে, রবিবার ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পঞ্জাবের ফিরোজপুর ক্যান্টনমেন্টে সামরিক মহড়া দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ক্যান্টনমেন্ট এলাকা সম্পূর্ণ অন্ধকার করে দিয়ে এই মহড়া চালায় সেনা। রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গল বা পার্বত্য এলাকায় হামলা করতে হলেই এই ধরনের মহড়া দেয় সেনাবাহিনী।