Naveen Patnaik inaugurates school: শিশু দিবসে ১৩৮ টি স্কুল উদ্বোধন করে নয়া নজির ওড়িশার
Naveen Patnaik, প্রথম ধাপে এই উদ্ভাবনী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৩০ টি জেলা জুড়ে মোট ১ হাজার ৭৫ টি স্কুলকে নতুন করে রূপান্তর করা হয়। তারমধ্যে ৩৩০ টি স্কুল এখন সেরাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহার করছেন।
ভুবনেশ্বর: শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। প্রত্যেক বছরের মত এবারও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর (Pandit Jawharlal Neheru) জন্মদিন দেশেজুড়ে ‘শিশু দিবস’ (Childrens’ Day) হিসেবে পালিত হয়েছে। শিশুদের ভবিষ্যতকে আরও সুদৃঢ় করতে সেই দিনটিকেই বেছে নিল ওড়িশা সরকার। শিশু দিবসের দিনেই ১৩৮ টি নয়া স্কুলের উদ্বোধন করে নয়া নজির তৈরি করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Odisha Chief Minister Naveen Patnaik)। ওড়িশার বৌধ, সোনপুর, ভাদ্রক ও কেন্দুঝড় জেলায় অবস্থিত এই স্কুল গুলির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। 5T (Technology, Teamwork, Time, Transparency and Transformation) স্কুল রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় এই নতুন স্কুল গুলির উদ্বোধন করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে ওড়িশা সরকার।
প্রথম ধাপে এই উদ্ভাবনী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের ৩০ টি জেলা জুড়ে মোট ১ হাজার ৭৫ টি স্কুলকে নতুন করে রূপান্তর করা হয়। তারমধ্যে ৩৩০ টি স্কুল এখন সেরাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা ব্যবহার করছেন। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেন, “শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে রাজ্য জুড়ে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, শিক্ষা সমাজরে বদলে দিতে পারে। ওড়িশা সরকারের এই স্কুল রূপান্তরের কর্মসূচি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও আগ্রহকে অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলেছে।
এই স্কুলগুলি উদ্বোধনের সময় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেন, স্কুলই দেশের ভবিষ্যৎ সঠিকভাবে গড়তে পারে। তিনি জানিয়েছেন, “একটি বাচ্চার জন্য স্কুল জীবন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমাদের দায়িত্ব তাদের দক্ষতা বৃ্দ্ধির জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করা।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই আমাদের রাজ্যের শিক্ষার্থীরা সবক্ষেত্রেই সামনের সারিতে থাকুক এবং বড় স্বপ্ন ও আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে তাঁরা সামনের দিকে এগিয়ে চলুক। তবেই তাঁরা জীবনে সবধরনের প্রতিকুলতার মুখোমুখি হওয়ার সাহস পাবে। স্কুল গুলির রূপান্তর করার ক্ষেত্রে এটাই আমাদেপর প্রাথমিক উদ্দেশ্য। এই নতুন প্রকল্প শহর ও গ্রামের স্কুল গুলির মধ্যেকার পার্থক্যকে মিটিয়ে দিয়েছে।”
“ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল পড়া ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ১৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ করেছে। কারণ সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন।” বলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
আরও পড়ুন Physical Assault: পৈশাচিক! ১৬ বছরের কিশোরীকে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ করল ৪০০ জন