Odisha HM Naba Das: করোনাকালে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন কাজের জন্য, প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সম্পত্তির অঙ্ক চোখ কপালে ওঠার মতো

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 30, 2023 | 6:34 AM

Naba Das Passed Away: রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেও, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে তাঁর রয়েছে আইনের ডিগ্রি। কলেজে পড়াকালীনই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন।

Odisha HM Naba Das: করোনাকালে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন কাজের জন্য, প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সম্পত্তির অঙ্ক চোখ কপালে ওঠার মতো
ওড়িশার স্বাস্থ্য মন্ত্রী নব দাস।

Follow Us

ভুবনেশ্বর: অন্য়ের বিপদে ছুটে যেতেন, এক মুহূর্তের জন্যও আগে নিজের কথা ভাবতেন না। ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Odisha Health Minister) নব দাস(Naba Das)-র মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতিচারণে এমনটাই বলেন মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা। রবিবার শাসক দল বিজিডির একটি কার্যালয় উদ্বোধনে ঝাড়সুগুদা জেলার বজরঙ্গ নগরে গিয়েছিলেন। সেখানে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান পুলিশের এএসআই গোপাল কৃষ্ণ দাস। বুকে দুটি গুলি লাগে মন্ত্রীর। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় মন্ত্রীর। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক (Naveen Patnaik) ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ অনেকে।

ওড়িশার স্বাস্থ্যমন্ত্রী নব কিশোর দাস একসময়ে অত্যন্ত প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা ছিলেন। প্রায় দুই দশক তিনি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন। ঝাড়সুগুদা, যেখানে গুলিবিদ্ধ হন মন্ত্রী, তিনি সেখানে অত্য়ন্ত প্রভাবশালী নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেও, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে তাঁর রয়েছে আইনের ডিগ্রি। কলেজে পড়াকালীনই তিনি রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন। সম্বলপুরের গঙ্গাধর মেহের কলেজের ছাত্র সংগঠনের সভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে তিনি প্রথমবার নির্বাচনে জয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালে ফের ঝাড়সুগুদা থেকে পুনর্নিবার্চিত হন। পাঁচ বছর পরে তিনি বিজিডি-তে যোগ দেন।

প্রথমে নবীন পট্টনায়েকের বিরোধী হলেও, বিজিডিতে যোগ দেওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মুখ্যমন্ত্রী যখন মন্ত্রিসভার রদবদল করেছিলেন, তখন হাতে গোনা যে কয়েকজন মন্ত্রী নিজেদের পুরনো কুর্সি ফেরত পেয়েছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন নব দাস। করোনাকালে তিনি যেভাবে রাজ্যে সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করেছিলেন, তার জন্য প্রচুর প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ধনসম্পত্তির দিক থেকেও নব দাসের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া ভার। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের মন্ত্রিসভার অন্যতম ধনী সদস্য ছিলেন নব দাস। ২০২২ সালের নথি অনুযায়ী, তাঁর  মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪কোটি টাকা।

Next Article