সম্বলপুর: সকালে প্রাতঃকর্ম সারতে মাঠে গিয়েছিল আট বছরের বাচ্চা মেয়েটি। বেশ কিছুক্ষণ সময় কেটে যাওয়ার পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরাতে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। কিছুক্ষণ বাদেই দেখা গেল গ্রামের এক বাসিন্দা এগিয়ে আসছেন, তাঁর হাতে ধরা কাটা মুণ্ডু। শুধু তাদের বাড়ির সামনেই নয়, গোটা গ্রামেই এইভাবে ঘুরে বেড়ালেন। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশা(Odisha)-র জয়পুর জেলায়। শুক্রবারই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ বছরের ওই ব্যক্তি ওড়িশার জয়পুরের জামানকিরা ব্লকের একটি গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিল বাচ্চা মেয়েটিও। তবে কী কারণে নির্মমভাবে ওই মেয়েটিকে হত্যা করলেন ওই ব্যক্তি, তা এখনও জানা যায়নি। মৃতার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে প্রাতঃকর্ম সারতে বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা জমিতে গিয়েছিল সে। সেখানেই আচমকা কুঠার হাতে চড়াও হন ওই ব্যক্তি। এক কোপে কেটে নেন বাচ্চা মেয়েটির মাথা। এরপর রক্ত মাখা ওই কাটা মুণ্ডু নিয়ে গোটা গ্রামে ঘুরে বেড়ান। এরপর গ্রামেরই একটি টিউব ওয়েলে কাটা মুণ্ডুটি জল দিয়ে ধুয়ে নেন এবং বাড়িতে নিয়ে যান।
বাড়িতে পৌঁছতেই অভিযুক্তের স্ত্রী আঁতকে ওঠেন। স্বামীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায় তাঁর, কিন্তু ওই ব্যক্তি কুঠার দিয়ে তাঁকে মারতেও উদ্যত হলে তিনি চুপ করে যান। এরপর বাড়ির সামনের বারান্দাতেই কাটা মুণ্ডুটিকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অন্যদিকে, গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি অধিকাংশ সময়ই মদ্যপ থাকতেন। তবে মৃতার পরিবারের সঙ্গে তাঁর কোনও শত্রুতা ছিল না। তাই কী কারণে হঠাৎ ওই কিশোরীকে খুন করলেন ওই ব্যক্তি, তা জানা যায়নি। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির দুটি মেয়ে রয়েছে। প্রায়সময়ই তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে নানা কারণে বচসা হত তাঁর, তবে মানসিক কোনও সমস্যা ছিল বলে জানা যায়নি। মৃত ওই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।