ভুবনেশ্বর: পড়শির কাছে শুনেছিলেন, তাঁর অবর্তমানে বাড়িতে আসে এক যুবক। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেও মেলেনি কোনও সদুত্তর। দিনে দিনে বেড়েই চলেছিল সন্দেহ। শেষে ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত নিলেন স্বামী। শনিবার কাজ থেকে বাড়ি ফিরেই সোজা রান্নাঘরে চলে গেলেন। সেখান থেকে ধারাল অস্ত্র বের করে স্ত্রীর গলায় কোপ। ধর থেকে মুণ্ড আলাদা করে দিলেন। পরে সেই কাটা মুণ্ড নিয়েই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন।
ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ওড়িশার নয়াগড়ে। অর্জুন বাঘা নামক বছর পয়ত্রিশের এক ব্য়ক্তি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেন। মাথা কেটে নেন। এরপরে সেই কাটা মুন্ডু হাতে নিয়েই থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিদাপাজু গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্য়ক্তি তাঁর স্ত্রী ধরিত্রীকে (৩০) সন্দেহ করতেন। এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে শুনেছিলেন, তাঁর অবর্তমানে বাড়িতে অন্য যুবক আসে। এরপরই তাঁর সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তিও হয়। শনিবার হঠাৎ কোনও কারণ ছাড়াই চরম সিদ্ধান্ত নেন। কাজ থেকে ফিরেই তিনি স্ত্রীর উপরে আক্রমণ করেন। এক কোপে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেন।
কাটা মুণ্ড নিয়ে তিনি থানায় যান। সেখানে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। তাঁর বাড়ি থেকে মহিলার কাটা ধড়ও উদ্ধার করা হয়েছে।