Odisha Police: প্রতারিত ৫০ হাজার, আছে বাংলার চাকরিপ্রার্থীরাও, ধরা পড়ল ভারতের সবথেকে বড় চাকরি জালিয়াতি চক্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Jan 01, 2023 | 10:41 PM

Odisha Police busts Job Fraud: প্রতারিত গুজরাট, কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা এমনকি পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীরাও। চাকরি ক্ষেত্রে বিরাট প্রতারণা চক্রের জারিজুরি ফাঁস করল ওড়িশা পুলিশ।

Odisha Police: প্রতারিত ৫০ হাজার, আছে বাংলার চাকরিপ্রার্থীরাও, ধরা পড়ল ভারতের সবথেকে বড় চাকরি জালিয়াতি চক্র
এটাই ভারতের সবথেকে বড় চাকরি সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনা, দাবি ওড়িশা পুলিশের

Follow Us

ভুবনেশ্বর: বলা হচ্ছে এটাই ভারতের সবথেকে বড় চাকরি সংক্রান্ত জালিয়াতির ঘটনা। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী পুলিশের অনুমান প্রতারিত দেশের অন্ততপক্ষে ৫০,০০০ চাকরিপ্রার্থী। জড়িয়ে আছে কোটি কোটি টাকার জালিয়াতি। প্রতারিত গুজরাট, কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা এমনকি পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীরাও। এই বিরাট প্রতারণা চক্রের জারিজুরি ফাঁস করল ওড়িশা পুলিশ। রবিবার, ওড়িশা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে এই চক্রের অন্যতম পান্ডাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার কর্তারা জানিয়েছেন, প্রতারণা চক্রের ওই পান্ডার নাম আহমেদ, সে আলিগড়ের সিভিল লাইনস-এর বাসিন্দা। ২৫ বছরের এই যুবক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তাকে গ্রেফতারের পর আলিগড়ের স্থানীয় আদালতে পেশ করেছিল ওড়িশা পুলিশ। আদালত ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। এরপর তাকে ভুবনেশ্বরের আদালতে পেশ করা হবে। ওড়িশা পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, জেএন পঙ্কজ বলেছেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমাদের সহায়তা করেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় পুলিশ। এর জন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত বলে আমাদের অনুমান। সেই সঙ্গে প্রতারকরা যে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলেছিল, সেই অর্থ উদ্ধারের জন্য তদন্ত এখনও চলছে।”

ওড়িশা পুলিশ আরও জানিয়েছে, কয়েকজন ওয়েবসাইট ডেভেলপারদের সহায়তায় উত্তর প্রদেশের একদল অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং প্রযুক্তিতে দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররাই এই কেলেঙ্কারী চক্র চালাচ্ছিল। পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে তারা অবগত ছিল। এই ওয়েবসাইট ডেভেলপার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তা করছিল প্রায় ৫০ জন কল সেন্টারের কর্মী। এরা অধিকাংশই ছিল উত্তর প্রদেশের জামালপুর এবং আলিগড় এলাকার বাসিন্দা। তাদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা করে দেওয়া হত। এই চক্র চালানোর জন্য ১০০০টিরও বেশি জাল সিম এবং ৫৩০টি হ্যান্ডসেট এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছিল। জাল সিম কার্ড ব্যবহার করে শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস কল ব্যবহার করে তারা যোগাযোগ করত। সেই সঙ্গে এই কেলেঙ্কারিতে প্রায় ১০০টি জাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রতারকরা হুবহু সরকারি ওয়েবসাইটের মতো দেখতে ওয়েবসাইট তৈরি করেছিল। মূলত স্বাস্থ্য বা দক্ষতা বিভাগের চাকরিকে নিশানা করত তারা। ওই ওয়েবসাইটে সরকারি চাকরির বিজ্ঞাপনই দিত তারা। এমনকি চাকরি প্রার্থীদের আকর্ষণ করতে তারা “প্রধানমন্ত্রী এম্প্লয়মেন্ট স্কিম”-এর কথাও উল্লেখ করত। প্রতারকরা স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিতেও বিজ্ঞাপন দিত। তবে, সেখানে তারা জাল পরিচয়ই ব্যবহার করত। প্রার্থীদের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তারা নাম নিবন্ধন, ইন্টারভিউ বা প্রশিক্ষণের অছিলায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৩০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত নিত।

Next Article