নয়াদিল্লি: মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অফিসের বস। নিজের বিবাহের কথা গোপন করেই ২২ বছরের ওই যুবতীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছিলেন তিনি। প্রায় আড়াই বছর ধরে ছিল সেই সম্পর্ক। কিন্তু ওই যুবতী জানতেন না তাঁর প্রেমিক বসে বিবাহিত। তাই বিয়ের জন্য বসকে চাপ দিতে থাকেন তিনি। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না বস। এর পর অফিসের এক পুরুষ সহকর্মীকে ঘটনার কথা জানান ওই বস। বসের মদতে সহকর্মীরা যোগাযোগ করেন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে। এর পর অফিসের মধ্যেই ২২ বছরের ওই যুবতীকে খুন করা হয়। নয়াদিল্লির এক অফিসে সম্প্রতি ঘটেছে এই ঘটনা।
অফিসের মহিলা সহকর্মীকে খুনের ঘটনায় পাঁচ জন গ্রেফতার করেথে পুলিশ। তাঁদের নাম অনুজ (৩৪), জয় প্রকাশ (২৮), পঙ্কজ (২২), শ্যাম সুন্দর (২৫) এবং সুমিত (২৬)। অপর অভিযুক্ত শরিফ এখনও পলাতক। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অনুজ। তিনি ওই অফিসের বস ছিলেন। বাকি চারজনের সঙ্গে ষড়যন্ত্রকে ওই যুবতীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন তিনি। এবং ২ লক্ষ টাকা দিয়ে খুনি ভাড়া করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় ৭টায় একটি ফোন আসে পুলিশের কাছে। পুলিশ গিয়ে দেখে টিম্বার মার্কেটের একটি অফিসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে যুবতীর দেহ। একটি টেলিকলারের অফিস সেটি। এর পর ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায় সন্ধ্যা ৬.১৭ নাগাদ দুই ব্যক্তি অফিসে ঢুকেছিলেন। এবং তাঁর কয়েক মিনিট পরই বেরিয়ে আসেন। ওই অফিসের বস অনুজ ৬.১৮ নাগাদ খুন হওয়া যুবতীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সে সময় তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। মৃতের ব্যাগ থেকে একটি মঙ্গলসূত্র এবং অনুজের ফোটো পাওয়া গিয়েছিল।
পুলিশি জেরার সময় অনুজ জানিয়েছেন, মৃতের সঙ্গে অনুজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। প্রায় আড়াই বছর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদি মৃত যুবতীর থেকে নিজের বিয়ের কথা গোপন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন অনুজ। সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁর সহকর্মী জয়প্রকাশকে গোটা ঘটনার কথা জানান অনুজ। জয় প্রকাশের থেকে পঙ্কজ জানেন সে কথা। এর পর তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে খুনী ভাড়া করেন। পাঁচজন মিলে শনিবার জড়ো হয়ে অফিসে এসে খুন করেন ওই যুবতীকে।