
নয়া দিল্লি: ভারতের জনসংখ্যার বর্তমানে ছবিটা দেখলে বোঝা যাবে, যুবক-যুবতীর সংখ্যাই সব থেকে বেশি। বিশ্বের যে সব দেশে যুব সম্প্রদায়ের আয়তন সবথেকে বড়, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। তবে এই ছবিটা বদলে যাবে কয়েক বছরের মধ্যেই। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত ‘ইন্ডিয়া এজিং রিপোর্ট, ২০২৩’-এ উল্লেখ করা হয়েছে, যে হারে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই শতকের শেষে সংখ্যাটা বেড়ে যাবে অনেকটাই। যুব সম্প্রদায়কে সংখ্যার নিরিখে ছাড়িয়ে যেতে পারে বয়স্কদের সংখ্যা।
রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে ভারতে ৬০-এর বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ১৫ কোটি অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১০.৫ শতাংশ। ২০২১ সালে জনসংখ্যার ১০.১ শতাংশ মানুষের বয়স ছিল ৬০-এর বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩৬ সালের মধ্যে এই হার বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়ে যাবে। এই শতকের শেষে ৩৬ শতাংশে পৌঁছতে পারে সেই হার।
কিন্তু কীভাবে যুব সম্প্রদায়ের আয়তন কমছে, সেই প্রশ্নেরও উত্তরও রয়েছে রিপোর্টে। দেখা গিয়েছে, ১৯৬১ সাল থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। তবে সেই বৃদ্ধির হার খুব বেশি ছিল না। বিশেষত ১৫ বছরের কম বয়সী জনসংখ্যা কমে গিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে বার্ধক্যের হার বেড়ে যাবে অনেকটাই।
বর্তমানে যুবক-যুবতীর সংখ্যা বিশ্বে সবথেকে বেশি রয়েছে ভারতে। চিনের থেকে প্রায় ৪৭ শতাংশ বেশি সেই সংখ্যা। দেখা গিয়েছে, বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৩৮ কোটি। তার মধ্যে প্রায় ২৫ কোটির বয়স ১৫ বছর বা তার কম।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি রিপোর্ট ইয়ুথ ইন ইন্ডিয়া, ২০২২-এও একই কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ২০৩৬ সালে বৃদ্ধ-বৃদ্ধার সংখ্যা হবে মোট জনসংখ্যার ৩৪.৫৫ শতাংশ।
সমীক্ষা বলছে, জন্মের হার কমছে ভারতে। ২০১১-তে যে হার ছিল ২.৪ শতাংশ, ২০১৯-এ সেই হার কমে হয় ২.১ শতাংশ। একই সঙ্গে কমছে মৃত্যুর হার। সে কারণেই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার সংখ্যা ভারতে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।