শ্রীনগর: সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির (Article 370 Abolition) রায় বৈধ। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। তবে শীর্ষ আদালতের এই রায়ে খুশি নন উপত্যকার নেতারা। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘হতাশাজনক’ বলেন জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah)। অন্যদিকে, প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদও (Ghulam Nabi Azad) এই রায়কে “দুঃখজনক” বলে অ্যাখা দেন।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্ত করে। ফলে বিশেষ মর্যাদা খোয়ায় জম্মু-কাশ্মীর। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়। সেই সমস্ত পিটিশনকে একত্রিত করেই মামলার শুনানি শুরু হয়। চলতি বছরের ২ জুলাই থেকে শুনানি শুরু হয়। ১৬ দিন শুনানি চলার পর, ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত রাখা হয়। আজ সেই রায়দান করা হয়।
শীর্ষ আদালতের রায়ের পরই ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, “অত্য়ন্ত দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক। কয়েক দশক সময় লেগেছিল বিজেপির এই জায়গায় পৌঁছতে। আমরাও লম্বা দৌড়ের জন্য প্রস্তুত।”
Disappointed but not disheartened. The struggle will continue. It took the BJP decades to reach here. We are also prepared for the long haul. #WeShallOvercome #Article370
— Omar Abdullah (@OmarAbdullah) December 11, 2023
পরে তিনি একটি কবিতাও পোস্ট করেন, তাতে লেখা, “দিল না উম্মিদ তো নেহি/ না কাম হি তো হ্য়ায়/ লাম্বি হ্যায় গম কি শাম/ মগর শাম হি তো হ্যায়।”
প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদও সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে অত্যন্ত দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক বলেন। তিনি লেখেন, “জম্মু-কাশ্মীরের মানুষেরা এই রায়ে খুশি নয়, কিন্তু আমাদের এই রায় মানতে হবে।”
জম্মু-কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং, যিনি ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে জম্মু-কাশ্মীরকে দেশের অন্তর্ভুক্ত করেন, তার ছেলে তথা কংগ্রেস নেতা করণ সিং সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “যারা এখনও ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের বিরোধিতা করছেন এখনও, তাদের বলছি দেওয়ালে মাথা ঠুকে আর লাভ নেই।”
তিনি বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের একটা সংখ্যক মানুষ এই রায়ে খুশি হবেন না। তাদের জন্য আমার পরামর্শ যে অবশ্যম্ভাবীকে স্বীকার করে নিন। সুপ্রিম কোর্টও এই সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছে। বেকার দেওয়ালে মাথা ঠুকে আর লাভ নেই। বরং আগামী নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিন।”