Expected Omicron Wave: আগামী বছরই আছড়ে পড়বে ওমিক্রনের ঢেউ, সংক্রমণের হার নিয়ে পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 22, 2021 | 7:06 AM

Omicron Wave Likely in February: আইআইটির অধ্যাপকদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মধ্যে যেহেতু ভৌগলিক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় মিল রয়েছে, সেই কারণে ভারতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রমণের প্রতিফলনই দেখা যেতে পারে।

Expected Omicron Wave: আগামী বছরই আছড়ে পড়বে ওমিক্রনের ঢেউ, সংক্রমণের হার নিয়ে পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের
আছড়ে পড়তে পারে ওমিক্রনের ঢেউ? ছবি:PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: কয়েক মাস আগেই গবেষক-বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, দেশে করোনার শেষের শুরু (Endemic) হয়ে গিয়েছে। বছর শেষে সংক্রমণের হার কম থাকলেও, ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে (Omicron Variant) আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave) ডেকে আনতে পারে ওমিক্রনই, এমনটাই ধারণা বিজ্ঞানীদের। তাদের দাবি, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই সংক্রমণের নতুন ঢেউ আছড়ে পড়বে।

মহামারির সময়কাল গণনার জন্য তৈরি সূত্র মডেল (Sutra Model) অনুসারেই এই পূর্বাভাস দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই মডেলের আবিস্কারকর্তা মণীন্দ্র আগরওয়াল ও এম বিদ্যাসাগর জানান, আগামী বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে করোনার নতুন একটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তবে এটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারবে না, সংক্রমণের হারও সামান্যই হবে।

সূত্র মডেলের আবিস্কারকর্তা দুই বিজ্ঞানী বলেন, “খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হলে, ফেব্রুয়রি মাসে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১.৫ লাখ থেকে ১.৮ লাখ হতে পারে। তাও এটা থকনই সম্ভব, যদি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পূর্ণরূপে টিকা বা পূর্ব সংক্রমণ থেকে তৈরি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সম্পূর্ণরূপে ফাঁকি দেয়।”

দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরিস্থিতিই হবে ভারতে:

দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট সে দেশে যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে, তা দেখে বিজ্ঞানীদের আন্দাজ, দ্রুতগতিতে যেমন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে, তেমনই আবার সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছিয়ে, সেখান থেকে সংক্রমণ বিনা বাধায় নিম্নমুখী হবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় যেমন তিন সপ্তাহেই সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছেছে এবং তারপরই আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজারের কাছাকাছি, এরপরই সংক্রমণ ২০ হাজারের নীচে নেমে আসে। যদিও মৃত্যুর হার এখনও বেশি, যা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

আইআইটির অধ্যাপকদের মতে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের মধ্যে যেহেতু ভৌগলিক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় মিল রয়েছে, সেই কারণে ভারতে দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রমণের প্রতিফলনই দেখা যেতে পারে। সুতরাং সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হলেও, সংক্রমণের এই নতুন ঢেউ যে দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তা আন্দাজ করাই যায়।

তবে একটি বিষয় এখনও অজানাই রয়ে গিয়েছে। যে হারে টিকাপ্রাপ্ত মানুষেরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে, সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা টিকার মাধ্যমে প্রাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কতটা ফাঁকি দিতে সক্ষম এই ভ্যারিয়েন্ট।

বিজ্ঞানী-গবেষকদের মতে, আমেরিকা ও ব্রিটেনে সংক্রমণ, মৃত্যুহার ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, তা যদি মিলে যায়, তবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতে ওমিক্রনের ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন: Election Laws Amendment Bill: রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাস নির্বাচনী আইন সংশোধনী বিল

Next Article