বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ওমিক্রনের দাপট। দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রমশ বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, দেশে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও, মহারাষ্ট্রের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত এক সপ্তাহেই সুস্থ হয়ে ওঠায় কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে প্রশাসন। তবে নিয়মে শিথিলতা যাতে না আসে, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিদেশ থেকে আগত, বিশেষত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা, একান্তবাসে থাকার মতো নিয়মগুলি যাতে কঠোরভাবে পালিত হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব জুড়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। এই ভ্যারিয়েন্টের জন্য ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ় দিতে হতে পারে বলে দাবি করেছেন কোনও কোনও চিকিৎসক। আর তা জেনেই ভ্যাকসিন মজুত করতে শুরু করেছে একাধিক দেশ। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যাতে, কোনও দেশ ভ্যাকসিন মজুত না করে। সে ক্ষেত্রে টিকার অ-সম বন্টন হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হু-এর দাবি, ওমিক্রনের জন্য অতিরিক্ত ডোজ়ের বিষয়টা নিশ্চিত নয়।
আবারও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা ধাক্কা খেল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। ভারত থেকে অন্য দেশে বা অন্য দেশ থেকে ভারতে বিমান আসার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
দেশের ১৩০ কোটি প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনও পূরণ না হলেও, মোট টিকাকরণে ১৩০ কোটির গণ্ডি পার করল দেশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার দেশে মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৩০ কোটি পার করেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যেই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এল মহারাষ্ট্রের প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্তের। বুধবারই মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা বছর ৩৩-র ওই যুবকের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, আপাতত এক সপ্তাহ গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেই ৩৩ বছরের ওই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দুবাই হয়ে ভারতে এসেছিলেন। ২৪ নভেম্বর দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁর আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হয়। সেখান থেকে তিনি ফের মুম্বইয়ের বিমানে ওঠেন। তিনি যতক্ষণে মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছন, ততক্ষণে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাঁর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এরপরই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয় এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দিন প্রতিদিন আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্ট। নভেম্বর মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের, বর্তমানে তা হু হু করে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এক-দু’দিন অন্তরই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। তবে আক্রান্ত রোগীদের উপসর্গ ওখনও স্বল্প বা মাঝারিই রয়েছে, কারোর সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করেনি।