
ভোপাল: ভারতে খেলতে এসে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিমের দুই মহিলা খেলোয়াড়। ইন্দোরের ঘটনায় যেখানে বিশ্বের কাছে ভারতের মাথা নীচু হয়ে গিয়েছে, মধ্য প্রদেশ ক্রিকেট বোর্ডও ক্ষমা চেয়েছে, সেখানেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বললেন, “এই ঘটনা ওই খেলোয়াড়দের কাছে একটা শিক্ষা”।
আইসিসি ওমেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলতেই ভারতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট টিম। গত সপ্তাহে মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে তাদের ম্য়াচ ছিল। একটি নামকরা পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে সামনেই একটি ক্য়াফেতে যাচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়া টিমের দুই মহিলা ক্রিকেটার, এমন সময়ে বাইকে চেপে এক যুবক তাদের টিটকিরি করে এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
মধ্য প্রদেশের ক্যাবিনেট মন্ত্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি এই ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে পুলিশকে দোষ না দিয়ে, উল্টে বলেন যে এই ঘটনা থেকে খেলোয়াড়দের শিক্ষা নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “যখনই খেলোয়াড়রা কোথাও যান, সবাই ঘিরে ধরে। আমরাও যদি কোথাও যাই, তাহলেও অন্তত একজনকে জানিয়ে যাই। আমার মনে হয় এই ঘটনা খেলোয়াড়দের মনে করাবে যে ভবিষ্যতে কোথাও গেলে অন্তত নিজেদের সিকিউরিটি বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে যাওয়া, কারণ খেলোয়াড়দের জন্য এ দেশে বিশাল উন্মাদনা রয়েছে।”
নিজের মন্তব্যের সাপেক্ষে যুক্তি সাজিয়ে তিনি আরও বলেন, “ইংল্যান্ডে ফুটবল যেমন, আমাদের এখানে ক্রিকেট তেমন। আমি দেখেছি ফুটবল খেলোয়াড়দের জামা পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা একটা হোটেলে ছিলাম, কফি খাচ্ছিলাম। তখন কয়েকজন আসে। একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়ের কাছ থেকে অটোগ্রাফ চায়। একটি মেয়ে চুমু খায়, তাঁর (খেলোয়াড়) পোশাক পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়।”
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “অনেক সময় খেলোয়াড়রা নিজেদের জনপ্রিয়তা বুঝতে পারেন না। খেলোয়াড়রা খুব জনপ্রিয়, তাই তাদের সতর্ক থাকা উচিত। এই যে ঘটনা ঘটল, তা সকলের জন্য শিক্ষা। এটা আমাদের কাছে যেমন শিক্ষা, তেমনই খেলোয়াড়দের কাছেও শিক্ষা।”
তিনি আরও বলেন, “নিরাপত্তার যেমন গাফিলতি ছিল, তেমনই এটা খেলোয়াড়দেরও দায়িত্ব কোথাও যাওয়ার আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো। ওরা কাউকে জানায়নি। তবে এই ঘটনা থেকে ওদের শিক্ষা হবে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে।”
বিজেপি নেতা তথা মধ্য প্রদেশের মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল।