নয়া দিল্লি: শুরু হল ২০২৪ সাল। আর নতুন বছরে পা রাখতে না রাখতেই সাফল্যের আরও ক মাইলফলক ছুঁতে বড় অভিযানে নামল ভারত। মহাশূন্যের সবথেকে বড় রহস্য হল কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole)। এবার সেই রহস্য উদ্ধারেই অভিযানে নামছে ISRO। কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন স্টার নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যেই আজ উৎক্ষেপণ করা হল রকেট। আমেরিকার পর ভারতই প্রথম কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য মহাকাশে রকেট পাঠাচ্ছে।
চন্দ্রযান-৩ সফল অভিযানের পর এবার ইসরোর নতুন লক্ষ্য হল কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলের রহস্য উদঘাটন। আজ, ১ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১০ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে XPoSAT বা এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইটের। পোলিক্স (POLIX ) ও এক্সস্পেক্ট (XSPECT ) নামক দুটি পে-লোড সহ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
এই অভিযানের আরও একটি উল্লেখ্য় বিষয় হল, গোটা মিশনটির নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন বাঙালি বিজ্ঞানী।
জানা গিয়েছে, এক্স-রে ফোটন ও তার পোলারাইজেশন ব্যবহার করে XPoSAT কৃষ্ণগহ্বরের কাছের রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়া নিউট্রন স্টার সম্পর্কেও জানতে সাহায্য করবে এই স্যাটেলাইট। পোলিক্স (POLIX ) পে-লোডের থমসন স্ক্যাটারিং ব্যবহার করা হবে এর জন্য। মহাশূন্যে থাকা নিউট্রন স্টার নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করবে এই স্যাটেলাইট।
জানা গিয়েছে, XPoSat স্যাটেলাইটের দাম ২৫০ কোটি টাকা। এই স্যাটেলাইট মহাশূন্যে ৫ বছর থাকতে পারবে বলেই অনুমান।
যখন কোনও তারার মৃত্যু হয়, তখন তাদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও শেষ হয়ে যায়। মহাশূন্যে ভাসতে থাকে মৃত তারা। তৈরি হয় ব্ল্যাক হোল ও নিউট্রন স্টারের। মহাশূন্যে সবথেকে বেশি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে কৃষ্ণগহ্বরে। সবথেকে বেশি ঘনত্ব হয় নিউট্রন স্টারের। এই কৃষ্ণগহ্বর ও নিউট্রন স্টার নিয়েই তথ্য সংগ্রহ করবে এই স্যাটেলাইট।