মুম্বই : মহারাষ্ট্রের মহাসঙ্কটের মধ্যেই রাজনীতিতে নয়া মোড়। মহারাষ্ট্রের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে ‘বেপাত্তা’ বিক্ষুব্ধ নেতাদের দলেই অন্য সুর। দল ভেঙে সুরাট থেকে মুম্বই ফিরলেন শিবসেনা বিধায়ক নিতিন দেশমুখ। মুম্বইয়ে পা রেখেই অভিযোগ করেছেন, তাঁকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছিল। এবং তাঁকে মোদী-শাহের রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গতকাল প্রথমে জানা গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের শিবসেনা বিধায়ক একনাথ শিন্ডে ও আরও একাধিক বিধায়ক গুজরাটের সুরাটের একটি পাঁচতারা হোটেলে ঘাঁটি গেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা বিধায়ক নিতিন দেশমুখও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে তিনি মুম্বই এসে জানিয়েছেন তিনি সদিচ্ছায় সেখানে যাননি। তাঁকে অপহরণ করে সুরাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি এদিন ফিরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই রয়েছেন। তিনি বলেন,’আমি অবশ্য়ই উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে রয়েছেন।’ তিনি এদিন আরও বলেন, ‘আমি পালিয়ে এসেছি এবং সকাল ৩ নাগাদ রাস্তায় এসে দাঁড়াই গাড়ির জন্য।’ তিনি এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে গভীর অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেছেন, ‘একশোর বেশি পুলিশ এসে আমায় নিয়ে যায়। তাঁরা ভান করছিল যেন আমি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছি এবং তাঁরা আমাকে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেন।’ তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয়নি। তবুও তাঁকে জোর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
#WATCH | Shiv Sena MLA Nitin Deshmukh – who returned to Nagpur from Surat – says, “…100-150 Policemen took me to a hospital & pretended as I’ve suffered an attack. They wanted to operate on me, harm me under that pretext. By God’s grace, I’m alright. I am with Uddhav Thackeray” pic.twitter.com/r1uSOMK0IS
— ANI (@ANI) June 22, 2022
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি। গতকালই বেশ কিছু শিবসেনা বিধায়ককে নিয়ে গুজরাটের সুরাটে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। তবে এদিন সব বিধায়কদের নিয়ে অসমে স্থান পরিবর্তন করার পর তিনি এদিন দাবি করেছেন তাঁর ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। পাশাপাশি তিনি বারবার দাবি করে এসেছেন তিনি শিবসেনা থেকে বেরোবেন না। বালাসাহেব ঠাকরের দেখানো পথেই হাঁটবেন। এদিকে এই পরিস্থিতিতে মুম্বইতে ক্যাবিনেট মিটিং করছে মহা অগাড়ি সরকার।