Delhi Jewellery Heist: ‘আমার বন্ধু যাচ্ছে ডাকাতি করতে’, অভিযুক্তের কথায় পাত্তাই দেয়নি পুলিশ, তারপর…
Delhi Jewellery Heist: দিন কয়েক আগে ছত্তিসগড় পুলিশের হাতে ডাকাতির অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন লোকেশ রাও নামে এক ব্যক্তি। তিনি জেরার মুখে বলেছিলেন, আমার বন্ধু লোকেশ শ্রীনিবাস দিল্লি গিয়েছে বড়সড় ডাকাতি করতে।
নয়া দিল্লি: সম্প্রতি দিল্লির এক বৃদ্ধি একদিন সকালে তাঁর সোনার দোকানে গিয়ে দেখেন, গোটা দোকান ফাঁকা। সোনার সব গয়না উধাও। উমরাও সিং জুয়েলার্স নামে ওই দোকানের মালিকের তো মাথায় হাত! কোটি কোটি টাকার গয়না এভাবে চুরি করলে কে! প্রাথমিকভাবে তিনি ভেবেছিলেন এটা কোনও একটা দলের কাজ। কিন্তু পুলিশের তদন্তে ভাঙল ভুল। জানা গেল, কোনও দল নয়, এক ব্যক্তি সবার চোখে ধুলো দিয়ে একাই সেরে ফেলেছেন চুরির কাজ।
ডাকাতির অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ। অন্যদিকে এই ঘটনার ঠিক দু দিন পরে দিল্লি পুলিশের কাছে এক বিশেষ তথ্য আসে ছত্তিসগড় পুলিশের তরফ থেকে। তারপরই সূত্র খুঁজে পায় পুলিশ। এক অদ্ভুত উপায়ে অভিযুক্তের খোঁজ মেলে। সাত দিনের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম লোকেশ শ্রীনিবাস।
আসলে দিন কয়েক আগে ছত্তিসগড় পুলিশের হাতে ডাকাতির অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন লোকেশ রাও নামে এক ব্যক্তি। তিনি জেরার মুখে বলেছিলেন, আমার বন্ধু লোকেশ শ্রীনিবাস দিল্লি গিয়েছে বড়সড় ডাকাতি করতে। অভিযুক্তের কথাটায় তেমন গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। কিন্তু দিল্লির ওই ডাকাতির ঘটনার খবর সামনে আসতেই সন্দেহ হয় ছত্তিসগড় পুলিশের। এরপর তারা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
তথ্য পেয়েই ছত্তিসগড় যায় দিল্লি পুলিশের একটি টিম। পাশাপাশি অনলাইনে খোঁজা হয় ওই ব্যক্তিকে। লোকেশ শ্রীনিবাসের ছবি খুঁজে পাওয়ার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখতেই মিলে যায়। এরপর নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। ওই ব্যক্তির খোঁজ শুরু হয় ছত্তিসগড়ে।
এরই মধ্যে পুলিশ জানতে পারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই ব্যক্তি দিল্লি গিয়েছিলেন। আর সোনার দোকানে ডাকাতি হয় ঠিক তার পরের দিন। সূত্র ধরে ছত্তিসগড়ের একটি বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। খবর ছিল, ওই বাড়িতেই ভাড়ায় থাকেন লোকেশ শ্রীনিবাস। এরপর পুলিশ সেখানে লোকেশের অপেক্ষা করতে থাকে। ভোর ৫ট ৪৫ মিনিটে বাড়ি ফেরেন লোকেশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।