
নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসদমন অভিযানে নেমে শহিদ হলেন এক পুলিশকর্মী। সোমবার বিকাল থেকে চলছে অভিযান। উধমপুরের সোয়ান এলাকায় পুলিশে ছয়লাপ। বন্দুক হাতে নেমেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ’, সঙ্গী হয়েছে সেনা এবং আধাসেনাও। সেই সময়ই আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। দু’পক্ষের মধ্য়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই। তাতেই শহিদ হয়েছেন এই পুলিশকর্মী।
মৃতের নাম আমজ়াদ পাঠান। তিনি পুঞ্চের মেন্ধারের বাসিন্দা। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়েই উধমপুরে অভিযান চালায় আমজ়াদ-সহ গোটা যৌথ বাহিনী। ওই শহরের সোয়ান এলাকায় বেশ কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পান নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই শুরু হয় তদন্ত অভিযান। সোয়ানে পৌঁছে একের পর এক বাড়িতে তদন্ত চালাতে শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বিপদ যে আসন্ন, তা বুঝে যায় সন্ত্রাসবাদীরা। এরপরেই গুলিবৃষ্টি। নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য চলে হামলা।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তিন জঙ্গির হদিশ পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এরা তিন জনেই মাসুদ আজহারের সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য। অপারেশন সিঁদুরের পরেই নতুন করে ‘ঘাতক’ হয়ে উঠেছে জইশ সন্ত্রাসীরা। শ্রীনগরে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে হয়ে পড়েছে কৌশলী। এদিন জম্মু পুলিশের আইজি ভিম সেন তুতি জানান, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসওজি বাহিনী, জওয়ান এবং আধাসেনার একটি দল অভিযান চালায়। এসওজি বাহিনীর রক্ষীরা যখন উধমপুরের জঙ্গলে প্রবেশ করছিলেন তখনই শুরু হয় গুলিবৃষ্টি।’
সোমবার সন্ধ্য়ায় পাল্টা হামলা চালিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু তাতে খুব একটা সাফল্য মেলেনি। একজন জঙ্গি আহত হয়ে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে কাউকে খতম করা যায়নি। সোমবার রাতের দিকে অভিযান স্থগিত করে দেয় যৌথ বাহিনী। যা পুনরায় শুরু হয় মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই।