
নয়া দিল্লি: অপারেশন সিঁদুর! পহেলগাঁও হত্যালীলার বদলা নিল ভারত। কিন্তু এবার প্রত্যাঘাত আসতে পারে পাকিস্তানের তরফেও। চোখ রাঙালে চোখ উপড়ে নিতে প্রস্তুত ভারতও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আধা সামরিক বাহিনীর ডিজিপি-র সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে যাঁর যাঁর অবস্থানে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওমর আবদুল্লার সঙ্গে কথা বলেছেন, কথা হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের সঙ্গেও। ডিজি-বিএসএফের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন শাহ। সূত্রের খবর, ডিজি বিএসএফ-কে অমিত শাহ নির্দেশ দিয়েছেন, কাশ্মীর সীমান্তে বসবাসকারীদের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। কারণ এর আগেও কাপুরুষের মতো পাকিস্তানকে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালাতে দেখা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও যুদ্ধের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিশেষ চ্যালেঞ্জ। বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি ইতিমধ্যেই প্রেস মিটে জানিয়েছেন, ভারতে হামলার আরও বড় ছক কষেছিল পাকিস্তান। ইন্টেলিজেন্স সূত্র মারফত সে খবর এসেছে। তার আগেই পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। কিন্তু পাকিস্তানও যে সেক্ষেত্রে চুপ করে থাকবে না, তাও আন্দাজ করতে পারছেন সেনাপ্রধানরা। আর সেক্ষেত্রে ভারতও পাকিস্তানের চোখ উপড়ে নেবে। তার আগে ভারত গুরুত্বের সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিকাঠামোকে সুদৃঢ় করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়টিতে বিশেষ করে গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
অমিত শাহ সমস্ত ডিজিপি-দের সঙ্গে বৈঠক করেন, তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক, অসামরিক প্রতিরক্ষার জওয়ানরা যেন সবসময়ে অ্যালার্ট মোডে থাকেন। কাশ্মীরেও যে অপারেশন চলছে, সেখানে জম্মু কাশ্মীর পুলিশের অ্যান্টি মিলিন্ট্যান্স স্কোয়াড ও সেনাবাহিনীকে প্রতি মুহূর্তে সিআরপিএফ সহযোগিতা করছে। অপারেশন ‘সিঁদুর’এ ভারতের পাশে রয়েছে ইজরায়েল, গ্রিস, চিলি।