
ভারতের প্রত্যাঘাতে থরহরিকম্প পাকিস্তান। কিছু বুঝে ওঠার আগে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটি। হিসেব কষে নেওয়া হয়েছে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলা। রাতভর নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাতভর ঠিক কী কী ঘটল-
রাত ১টা: খবর আসতে শুরু করে, ভারত প্রত্য়াঘাত করছে। শুরু হয়েছে ভারতের সামরিক অভিযান।
এরপরই পাকিস্তানের মুজফরাবাদে বিদ্যুৎ বন্ধ হতে শুরু করে। ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় বিস্তীর্ণ অংশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলতে শুরু করেন, পাহাড়ি এলাকায় অনেক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
এর ঠিক পরই মুখ খোলে পাক সেনা। তারা জানায়, ভারতের এই আঘাতের বদলা নেওয়া হবে।
রাত ১টা ৩০ মিনিট: ভারতের বদলার খবর আনুষ্ঠানিকভাবে সামনে আসে। জানা যায়, সামরিক অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিন্দুর’। ৯ জঙ্গিকে নিকেশ করার খবর জানা যায়।
রাত ১টা ৪৫ মিনিট: পাকিস্তানের ডন নিউজ-এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তানের ISPR-এর ডিরেক্টর জেনারেল লেফট্যানেন্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়ছেন যে কোটলি, বাহওয়ালপুর ও মুজফফরাবাদে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে।
ভোর ৪টে ১৩ মিনিট: জানা যায়, একযোগে ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা অংশ নিয়েছে এই অভিযানে।
ভোর ৪টে ৩২ মিনিট: আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কথা বললেন পাকিস্তানে এনএসএ ও আইএসআই প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল আসিফ মালিকের সঙ্গে।
ভোর ৪টে ৩৫ মিনিট: পাকিস্তানের একের পর এক বিমান বাতিল হতে শুরু করে।
ভোর ৫টা ০৪ মিনিট: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ৯টি জায়গা নিশানা করে অভিযান চালিয়েছে ভারত।
ভোর ৫টা ২৭ মিনিট: আমেরিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও জানান, আমেরিকা পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট: পাকিস্তানে যাওয়ার সব বিমান বাতিল করে দেয় কাতার এয়ারওয়েজ।
সকাল ৬টা: ফের একবার সীমান্তে গুলির শব্দ। সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে আবারও গুলি চালাল পাকিস্তান।
সকাল ৬টা ০৮ মিনিট: রাতভর অভিযান শেষ করে অপারেশন সিন্দুরে অংশ নেওয়া ভারতের সব পাইলট নিরাপদে ফিরে আসে।
সকাল ভোর ৬টা ১৪ মিনিট: নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিল পাকিস্তান।