Election Commission: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ‘রাজনীতির’ অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে ‘ইন্ডিয়া’

Election Commission: আর এই ধরনের মন্তব্য একজন সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তির মুখে মানায় না। এরপরই বিরোধী সাংসদরা খড়্গের বৈঠকে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব দেন। তবে গোটা বিষয়টাই এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কোনও রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Election Commission: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে ইন্ডিয়া
Image Credit source: PTI

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Aug 18, 2025 | 11:31 AM

নয়াদিল্লি: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট বা অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ভাবছে বিরোধী শিবির। দেশের CEC জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা জানাতে চায় তারা। তবে এই ভাবনার ভিত্তিতে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, সোমবার সকালে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে বৈঠকে বসেছিল ইন্ডিয়া ব্লকের সাংসদরা। সেখানেই নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীপক্ষ। তাদের দাবি, রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার যে সকল মন্তব্য করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক। আর এই ধরনের মন্তব্য একজন সাংবিধানিক পদে বসে থাকা ব্যক্তির মুখে মানায় না। এরপরই বিরোধী সাংসদরা খড়্গের বৈঠকে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের কথা বলেন। তবে গোটা বিষয়টাই এখন প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কোনও রকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

কমিশনের গতকালের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার নাম না করে রাহুলকে বিঁধেছেন। এমনকি, বিরোধী দলনেতাকে তাঁর তোলা ‘ভোট চুরির’ অভিযোগের ভিত্তিতে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অন্যথা চাইতে হবে ক্ষমা।

এই হলফনামাকেই সহজ ভাবে দেখছে না তৃণমূল শিবির। কমিশন কোন ভিত্তিতে হলফনামা দাবি করছে বলে প্রশ্ন তোলেন কল্যাণও। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্তরে নানা বিক্ষোভ, হুঙ্কার আগেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি প্রতিবারের মতো নয়। ইমপিচমেন্ট ভাবনা প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, এর আগে কখনওই এমন ভাবনার পথে এগোয়নি কোনও রাজনৈতিক দল।