নয়া দিল্লি: কাবুলের গুরুদ্বারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। এবার দিল্লি থেকে ১০০ জন আফগান শিখ এবং হিন্দুকে অগ্রাধিকার দিয়ে ই-ভিসা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সরকারি সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শনিবার কাবুলের গুরুদ্বারে বিস্ফোরণে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন শিখ ছিলেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই সে দেশে বসবাসকারী মানুষদের মানবাধিকার নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। গতকাল কাবুল সিটির কার্তে পারওয়াল এলাকায় ওই গুরুদ্বারে বেশ কয়েকটি ঘণ্টা ধরে হামলা চলে। সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তালিবান সেনার পাল্টা জবাবে তিন জন হামলাকারী নিকেশ হয়েছে।
বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল ভোরবেলা যখন হামলা চলে, তখন গুরুদ্বারের ভিতরে প্রায় ৩০ জন লোক ছিলেন। আফগানিস্তান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, হামলাকারীরা একটি বারুদ বোঝাই গাড়ি গুরুদ্বারের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটনায়। তবে ওই বিস্ফোরণে কারও মৃত্যু হয়নি।
কাবুলের গুরুদ্বারে ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুরুদ্বারে এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। পূন্যার্থীরা যাতে নিরাপদে থাকেন, সেই কামনা করে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখেছিলেন, “কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারে যে কাপুরুষের মতো সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছে, তাতে আমি আঁতকে উঠেছি। এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।”
টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। কাবুলের পরিস্থিতির উপর ভারত সরকার যে সব সময় নজর রাখছে, সেই বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, “এখন আমাদের সবার আগে যে উৎকণ্ঠার বিষয়, তা হল ওই সম্প্রদায়ের সবাই যাতে নিরাপদ থাকেন।” ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীও। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসের ১১ তারিখও অন্য একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল কাবুলে। সেই ঘটনাতেও বেশ কয়েকজন নাগরিক আহত হয়েছিলেন।