শিলং: মেঘালয়ে (Meghalaya) ক্রমে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে লাম্পি চর্মরোগ (LSD)। গত কয়েকদিনে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে শতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজারের বেশি গবাদি পশু (Cattle)। রবিবার রাজ্য পশু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
মেঘালয় পশু স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত ৮,১৭৭টি গরু লাম্পি চর্মরোগ (LSD)-এ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০১টি গরুর। তবে এই রোগ থেকে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৫,৮৮৪টি গরু।
LSD কী?
লাম্পি চর্মরোগ (LSD) হল ভাইরাস-ঘটিত অসুখ। গবাদি পশুরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়। মূলত, মশা থেকেই এই রোগ ছড়ায়।
LSD-র উপসর্গ কী?
LSD রোগে আক্রান্ত গবাদি পশুরা প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয়। ধীরে-ধীরে তাদের চামড়ায় ব়্যাশ বেরোয়। তারপর তাদের মৃত্যু হয়।
LSD-র চিকিৎসা
LSD রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত কোনও চিকিৎসা নেই। তবে এই রোগ ঠেকাতে গবাদি পশুদের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে LSD রোগে আক্রান্ত হলেও প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
মেঘালয় পশু স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, LSD প্রতিরোধে গবাদি পশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৮,৫০০ গরুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে ২,১০০-র বেশি গবাদি পশুর LSD সংক্রমণ বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।
গত কয়েকদিনে LSD রোগে ৮ হাজারের বেশি গবাদি পশু আক্রান্ত হওয়া এবং শতাধিক গরুর মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পাহাড়ি রাজ্য, মেঘালয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে স্বস্তির কথা, এই রোগ মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় না। এমনকি LSD রোগে আক্রান্ত গরুর দুধ পান করলেও মানুষের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না বলে দাবি ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের।
গবাদি পশুর পাশাপাশি মেঘালয়ে শূকরের মধ্যেও আফ্রিকান সোয়াইন জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ২৩০টি শূকর এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে রাজ্য পশু স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।