Bihar Rail Protest: বাতিল ১০০-রও বেশি ট্রেন, ৪০ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রইল রেল চলাচল, নেপথ্যে রসগোল্লা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 26, 2022 | 12:03 PM

Bihar Rail Protest: বিক্ষোভের জেরে হাওড়া-দিল্লি রেললাইনের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ওই লাইনের সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয় এবং ১০০-রও বেশি ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।

Bihar Rail Protest: বাতিল ১০০-রও বেশি ট্রেন, ৪০ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রইল রেল চলাচল, নেপথ্যে রসগোল্লা!
প্রতীকী চিত্র।

Follow Us

পটনা: মিষ্টি খেতে কে না ভালবাসে, আর তা যদি রসগোল্লা হয়, তবে তো প্রশ্নই নেই। নরম তুলতুলে রসগোল্লা মুখে পড়তেই গলে যায়। সেই কারণে যে কোনও অনুষ্ঠানই হোক না কেন, মিষ্টির তালিকায় রসগোল্লার নাম থাকেই। কিন্তু রসগোল্লার জন্য ৪০ ঘণ্টারও বেশি ট্রেন আটকে থাকতে পারে, এমন ঘটনা কল্পনা করেছেন কখনও? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সত্যিই এই ঘটনা ঘটেছে আমাদের দেশে। একাধিক ট্রেন বাতিল ও রুট পরিবর্তন করতে হয়েছে শুধুমাত্র রসগোল্লার কারণেই।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের লখিসরাই অঞ্চলে। সেখানের বাসিন্দারা গত সপ্তাহে প্রায় ৪০ ঘণ্টা ধরে রেললাইন অবরোধ করে রাখেন। গ্রামবাসীদের দাবি, বরহিয়া স্টেশনে কমপক্ষে ১০টি এক্সপ্রেস ও দূরপাল্লার ট্রেন দাঁড় করাতে হবে। নিজেদের দাবি পূরণ করতে তারা রেললাইনেই তাঁবু খাটিয়ে বসে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়।

বিক্ষোভের জেরে হাওড়া-দিল্লি রেললাইনের একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টার জন্য ওই লাইনের সমস্ত ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয় এবং ১০০-রও বেশি ট্রেনের রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। লখিসরাইয়ের জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার জানান, বরহিয়া স্টেশনে কোনও এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়ায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু সংখ্যক ট্রেন যাতে দাঁড়ায়, সেই দাবিতেই প্রচুর সংখ্যক মানুষ রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। শেষ অবধি স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বাসিন্দাদের দাবি মেনে নেওয়া হলে, অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেন বাসিন্দারা।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত প্রতি ১৫ দিন অন্তর এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়াবে বরহিয়া স্টেশনে। একইসঙ্গে প্রতি ৬০ দিন অন্তর অন্যান্য ট্রেনগুলিও দাঁড়াবে।  তবে এতকিছুর পর প্রশ্ন উঠতেই পারে যে রেল অবরোধের সঙ্গে রসগোল্লার কী যোগ। অনেকেই জানেন না যে বিহারের লখিসরাই বিখ্যাত তাদের রসগোল্লার জন্য। শুধুমাত্র ওই শহরেই প্রায় ২০০-রও বেশি রসগোল্লার দোকান রয়েছে। আশেপাশের শহর ও গ্রাম থেকেও লোকজন শুধুমাত্র রসগোল্লা খেতে আসেন এই শহরে।  কিন্তু বিগত দুই বছরে করোনা সংক্রমণের কারণে ব্যবস্থায় চরম ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়। পাশাপাশি ট্রেনও না দাঁড়ানোয় ব্যবসায়ীরা অন্য শহরেও মিষ্টি বিক্রি করতে যেতে পারছেন না।  সেই কারণেই স্থানীয়রা ট্রেন দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।

Next Article