শ্রীনগর: দীর্ঘদিন ধরেই পাক সেনার সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গিদের যোগাযোগের অভিযোগ করে ভারত। এবার সরাসরি সেই যোগসূত্র মিলল। কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন বন্দি সন্ত্রাসবাদী খোলাখুলি জানাল যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক কর্নেল তাকে আত্মঘাতী অভিযানে পাঠিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বন্দি ওই সন্ত্রাসবাদীর নাম তবারক হুসেন। তার দাবি, সে আরও চার-পাঁচ জন জঙ্গির সঙ্গে ভারতে প্রবেশ করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্য কর্নেল ইউনুস নামে এক পাকিস্তানি কর্নেল তাকে ৩০,০০০ টাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছে সে।
তবারক হুসেনের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই হামলার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর কয়েকটি ঘাঁটিতে রেইকি করেছিল সে। গত ২১ অগস্ট রাজৌরি জেলার র নওশেরা এলাকার ঝাঙ্গার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছ থেকে তাকে আটক করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সে এবং আরও কয়েকজন সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। আটকের সময় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে সে আহত হয়েছিল। সেনার চিকিৎসা কেন্দ্রেই তার চিকিৎসা চলছে।
#WATCH | Tabarak Hussain, a fidayeen suicide attacker from PoK, captured by the Indian Army on 21 August at LOC in Jhangar sector of Naushera, Rajouri, says he was tasked by Pakistan Army's Col. Yunus to attack the Indian Army for around Rs 30,000 pic.twitter.com/UWsz5tdh2L
— ANI (@ANI) August 24, 2022
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রকাশ করা এক ভিডিয়োতে সে বলেছে, “পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্নেল ইউনূসের পাঠানো আত্মঘাতী মিশনে আমি এবং আরও ৪-৫ জন এখানে এসেছি। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নিশানা করার জন্য তিনি আমাকে ৩০,০০০ টাকা দিয়েছেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১-২টি পোস্ট রেইকি করেছিলাম।”
সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তবারক হুসেনের উরু এবং কাঁধে দুটি গুলি লেগেছিল। গুরুতর অবস্থায় তাকে সেনার চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল। তার রক্তের গ্রুপ অতি বিরল, ও নেগেটিভ। তবে সেনা সদস্যদের প্রাণ নিতে আসলেও, তার প্রাণ বাঁচাতে চেষ্টার কসুর করেনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এমনকি, তাকে রক্ত দিয়েও সাহায্য করেছেন এক সেবনা সদস্য।
এই বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার রাজীব নায়ার বলেছেন, “আমাদের দলের সদস্যরা তাকে তিন বোতল রক্ত দিয়েছেন। তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তারপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও, পুরোপুরি সুস্থ হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। আমরা কখনই তাকে সন্ত্রাসবাদী ভাবিনি। আমরা তার জীবন বাঁচাতে অন্য রোগীদের মতোই তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছি। তাকে রক্ত দিয়ে সাহায্য করাটা ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের মহানুভবতা।”