ISIS India Head: ISIS-এর ইন্ডিয়া শাখার ‘চিফ’! যোগ রয়েছে মহারাষ্ট্রের ট্রেন হামলায়, সেই সাকিবের এবার চূড়ান্ত পরিণতি
Pakistan ISIS India Head: NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, সাকিব নাচেন মহারাষ্ট্রের থানা এলাকার বাসিন্দা। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল নাগাদ নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন সিমি বা স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া-র সঙ্গে জুড়ে যায় সে। পায় উর্ধতন পদ। নানা আন্দোলন। ষড়যন্ত্রের কান্ডারি হয়ে ওঠে এই সাকিব।

নয়াদিল্লি: ইরাকের জঙ্গি সংগঠন ISIS-এর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে কয়েক বছর আগেই গ্রেফতার হয়েছিল সাকিব। ২০২৩ সাল থেকে তার জীবন কাটছিল তিহাড় জেলের অন্দরেই। তবে মঙ্গলবার থেকে শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় কারণে হেফাজত থেকে সরাসরি দিল্লির সাফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। NIA-এর তদন্তকারীরা উদ্যোগ নিয়ে হাসপাতাল পাঠায় তাকে।
চিকিৎসকরা জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে সাকিবের। বাঁচার সম্ভবনা ক্ষীণ। সেই কারণে চার দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই শারিরীক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। দুপুর ১২টা নাগাদ মৃত্যু হয় তার।
NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, সাকিব নাচেন মহারাষ্ট্রের থানে এলাকার বাসিন্দা। ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল নাগাদ নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন সিমি বা স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া-র সঙ্গে জুড়ে যায় সে। পায় উর্ধ্বতন পদ। নানা আন্দোলন, ষড়যন্ত্রের কান্ডারি হয়ে ওঠে এই সাকিব। কিন্তু ২০০১ সাল নাগাদ ভারত সরকার এই গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রদ্রোহী ঘোষণা করে। এরপর থেকে NIA তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে চলে আসে সাকিব।
২০০২ ও ২০০৩ সালে মহারাষ্ট্রে হওয়া সন্ত্রাসী হামলাতেও তার যোগ ছিল বলে দাবি করেন তদন্তকারী। এমনকি, ২০০৩ সালে মহারাষ্ট্রের মুলুন্দ ট্রেন বিস্ফোরণেও যোগ রয়েছে তার। এই এক বছরে মহারাষ্ট্রের তিনটি বোমা হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। যাদের নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছিলেন সাকিবই, এমনটাই অভিযোগ। এমনকি, দেশের অন্দরে নানা অস্ত্র পাচার চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। পরবর্তীতে সেই দায়েই POTA বা সন্ত্রাসবাদী-বিরোধী আইনে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ১০ বছরের কারাদণ্ড হয় সাকিবের।
২০১৭ সালে সাজার মেয়াদ পূর্ণ করে ছাড়া পায় সাকিব। সিমি ততদিনে নিজের অস্তিত্ব হারিয়েছে। যে সকল প্রচারক ও সদস্যরা রয়েছে, তারা দিয়েছে গা ঢাকা। NIA-এর দাবি, এই সময়কালেই সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরাকের জঙ্গি সংগঠন ISIS। ইন্ডিয়া শাখার ‘চিফ’ পদে বসানো হয় তাকে। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই এই ইরাকের জঙ্গি সংগঠনের হয়ে প্রচারক ও সদস্য তৈরির কাজে নেমে পড়ে সাকিব। এরপরই ২০২৩ সালে সাকিবকে আবার গ্রেফতার করে NIA।

