
নয়াদিল্লি: সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব। ঘনিষ্ঠতা। তারপরই মধুর ফাঁদ পাতা শুরু। এভাবেই হানি ট্র্যাপে ফেলে অনেক গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। পাকিস্তানের আইএসআই-য়ের এই পদ্ধতির কথা বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে। কখনও কোনও জওয়ান সেই মধু-ফাঁদে পা দিয়েছেন। কখনও ব্রহ্মস মিসাইলের ইঞ্জিনিয়ারও হানি ট্র্যাপে পা দিয়ে গোপন তথ্য শত্রু পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন। এখানেই উঠে আসছে পাকিস্তানের চর ‘সেজল কাপুর’-র কথা। কে এই সেজল কাপুর?
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা গ্রেফতার হওয়ার পরই নতুন করে সেজল কাপুরের কথা সামনে আসছে। পাকিস্তানের চর সেজল কাপুর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। নিজেকে ব্রিটেনের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিত। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেনা, নৌসেনার জওয়ান এবং সরকারি আধিকারিক মিলিয়ে ৯৮ জন তার হানি ট্র্যাপে পা দিয়েছেন।
কীভাবে তথ্য হাতাত সেজল কাপুর?
জওয়ান, আধিকারিকদের মধুর-ফাঁদে ফেলার পর ভিডিয়ো ও একাধিক লিঙ্ক পাঠাত ওই ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী। আর ওই লিঙ্কের মাধ্যমেই ম্যালওয়ার পাঠাত। আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করার পর একটি কোড আসত। সেই কোড পাঠাতে বলত সেজল কাপুর। আর তা পাঠালেই কম্পিউটারের ফাইল হ্যাক হয়ে যেত।
সেজল কাপুরের মধুর ফাঁদে পড়েছিলেন এক ব্রহ্মস মিসাইলের ইঞ্জিনিয়ারও। ওই ইঞ্জিনিয়ার গ্রেফতার হওয়ার পরই উত্তর প্রদেশ অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড এবং সেনার ইন্টেলিজেন্স ওই পাকিস্তানের চরের ফেসবুক প্রোফাইলের সন্ধান পায়। তারপরই তদন্তে সব সামনে আসে।