নয়া দিল্লি: গত ২৮ দিনে ধরে মোটের উপর নির্বিঘ্নেই চলছে অমরনাথ যাত্রা। ৪ লক্ষেরও বেশি ভক্ত অংশ নিয়েছেন এই তীর্থযাত্রায়। তবে, এবার এই যাত্রায় বিঘ্ন ঘটাতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা, আইএসআই। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, এর জন্য তারা সম্প্রতি খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের সহযোগিতায়, অমরনাথ যাত্রা ব্যাহত করার এক চক্রান্ত করেছে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স। অমরনাথ তীর্থযাত্রীদের তারা নিশানা করছে। এই যাত্রার উপর খুব শিগগিরই হতে পারে বিধ্বংসী হামলা। আর এতে কাজে লাগানো হচ্ছে, পঞ্জাবের গ্যাংস্টার নেটওয়ার্ককে। সেই সঙ্গে পঞ্জাবের বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকেও এই পরিকল্পনার অংশ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত অমরনাথ গুহা। এই গুহায় পৌঁছনোর দুটি রাস্তা আছে। সবথেকে পুরোনো রাস্তাটি হল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহলগাম দিয়ে। ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ ধরে অমরনাথ গুহায় পৌঁছতে যাত্রীদের চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। পরে, উত্তর কাশ্মীরের বালতাল দিয়ে আরেকটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ ধরে মাত্র এক দিনেই অমরনাথ দর্শন করে বেস ক্যাম্পে ফিরে আসতে পারেন তীর্থযাত্রীরা। প্রসঙ্গত এই গুহা মন্দিরে কোনও স্থায়ী বিগ্রহ বা শিবলিঙ্গ নেই। আছে বরফের একটি স্ট্যালাগমাইট। অর্থাৎ বরফ জমে প্রাকৃতিকভাব শিবলিঙ্গের মতো একটি কাঠামো তৈরি হয়। ভক্তদের মতে এই কাঠামটি ভগবান শিবের পৌরাণিক শক্তির প্রতীক।
তবে শুধু অমরনাথ যাত্রার উপরই নয়, পঞ্জাব এবং রাজধানী দিল্লিতেও কয়েকজন বিজেপি নেতা এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের নিশানা করছে আইএসআই। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। আর এই ক্ষেত্রেও তারা কাজে লাগাচ্ছে বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল গোষ্ঠীকে। এর মধ্যে, পঞ্জাবের একজন হিন্দু ধর্ম প্রচারকও এক খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর থেকে হুমকি চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পঞ্জাব পুলিশ এই বিষয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। কারা এই হুমকি চিঠি দিয়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে।