
নয়া দিল্লি: মাথা ব্যথা বা জ্বর? সকলেই খেয়ে নেন প্য়ারাসিটামল। আবার যাদের গ্যাস বা হজমের সমস্যা, তারা ঘুম থেকে উঠেই খান প্যান-ডি বা প্যান ৪০। আদৌ সেটা রোগ কমাচ্ছে নাকি আরও ক্ষতি করছে? পরীক্ষায় পাশ করল না প্যারাসিটামল, প্যান-ডি ৪০। প্রতিদিন যে সমস্ত ওষুধ খান সকলে, সেই পরীক্ষাই মান উত্তীর্ণ নয়। মাসিক গুণমান রিভিউ পরীক্ষাতেই নভেম্বর মাসে ২০৫টি ওষুধ পাশ করেনি স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি বা নির্দিষ্ট গুণমানে উত্তীর্ণ না হওয়ায়।
জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি ৬৪টি ওষুধকে স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির নীচে বলে চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে, স্টেট ড্রাগস টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলি ১৪১টি ওষুধকে গুণমানের নীচে বলে চিহ্নিত করেছে। চণ্ডীগঢ়ের রিজিওনাল ড্রাগস টেস্টিং ল্যাবরেটরি গাজিয়াবাদ থেকে সংগ্রহ করা ওষুধের নমুনাকে ‘নকল’ (spurious) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
যে দুটি ওষুধকে ‘নকল’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় ব্রান্ড, প্যান ৪০ অর্থাৎ প্যান্টোপ্রাজ়োল গ্যাস্রো রেসিস্ট্যান্ট ট্যাবলেট এবং টেলমা ৪০ (টেলমিসার্টান ট্যাবলেট)। এদিকে এই দুটি ব্রান্ড দেশের বেস্ট সেলিং ব্রান্ডের মধ্যে অন্যতম।
সিডিএসসিও (CDSCO)-র তথ্য অনুযায়ী, আসল ওষুধের মোড়কে নকল ওষুধের ব্যাচ তৈরি করে, তা বিক্রি করা হচ্ছিল। আসল ম্যানুফ্যাকচার যারা, তারা জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া নকল ওষুধ তারা তৈরি করেননি। গোটা বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
প্যারাসিটামল, প্যান্টোপ্রাজ়ল, একাধিক কাফ সিরাপ, মাল্টি ভিটামিন সহ একাধিক ওষুধকে স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির নীচে বলেই উল্লেখ করেছে।
এর আগে গত বছরও অগস্ট মাসে প্যারাসিটামল, প্য়ান-ডি সহ ৫৩টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় ফেল করেছিল।