China Bridge on Pangong Lake: লাদাখের বেআইনিভাবে দখল করা জায়গায় চিনা সেতু, সংসদে জানাল কেন্দ্র

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Feb 04, 2022 | 8:32 PM

India China Border Dispute: সংসদের বাজেট অধিবেশনে শুক্রবার ওই লিখিত জবাবে আরও বলা হয়েছে, "ভারত সরকার কখনই এই অবৈধ দখলদারিকে মেনে নেয়নি।"

Follow Us

নয়া দিল্লি: প্যাংগং লেকে (Pangong Lake) চিনা সেতু প্রসঙ্গে সংসদের বাজেট অধিবেশনে (Parliament Budget Session) বড় বিবৃতি দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উপর চিনা সেতুটি বেআইনিভাবে দখল করা জায়গার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ভারত আশা করে, অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। মোদী সরকারের তরফে সংসদে এক লিখিত জবাবে বলা হয়েছে, “প্যাংগং লেকে চিনের দ্বারা নির্মিত একটি সেতুর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। এই সেতুটি সেই জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে যেগুলি ১৯৬২ সাল থেকে চিনের অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।” সংসদের বাজেট অধিবেশনে শুক্রবার ওই লিখিত জবাবে আরও বলা হয়েছে, “ভারত সরকার কখনই এই অবৈধ দখলদারিকে মেনে নেয়নি।”

চিনা সেতুর বিষয়ে সংসদে কী বলছে কেন্দ্র?

সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, “সরকার বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ – এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা আশা করি অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে।” ৮ মিটার চওড়া এই সেতুটি প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে এক চিনা সেনা ঘাঁটির ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে অচলাবস্থার সময় এখানে চিনা ফিল্ড হাসপাতাল এবং জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থাও দেখা গিয়েছিল।

২০২০ সাল থেকেই অচলাবস্থা

উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই লাদাখ সীমান্ত ঘিরে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়ে রয়েছে নয়া দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে। গালওয়ান নদী এলাকায় এক হিংসাত্মক মুখোমুখি সংঘর্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। উভয় পক্ষের সেই সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেপসাং সমভূমি থেকে ডেমচক এলাকা পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার লাল ফৌজের জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে দফায় দফায় কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় বসেছে শীর্ষ সামরিক আধিকারিকরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধানসূত্র দেখা যায়নি। এই আলোচনা পর্যায়ের মধ্যেই চিনের এই অবৈধভাবে দখল করে রাখা মাটিতে সেতু নির্মাণকে ঘিরে নতুন করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে শীতলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

চিনের সঙ্গে দফায় দফায় যে আলোচনা চলছে, সেই প্রসঙ্গেও আজ লিখিত জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় সংসদে। বলা হয়, “এই আলোচনায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনটি মূল নীতি রয়েছে এবং সেটিই অব্যাহত থাকবে, প্রথমত, উভয় পক্ষই কঠোরভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে মেনে চলবে, দ্বিতীয়ত, কোনও পক্ষই একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করবে না; এবং তৃতীয়ত, উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্ত চুক্তি অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে।” উল্লেখ্য, ভারত ও চিনের মধ্যে কর্পস কমান্ডার স্তরের শেষ দফা আলোচনা হয়েছিল ১২ জানুয়ারি। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি ফিরিয়ে আনা, অবশিষ্ট সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য কাজ করার বিষয়ে কথা বলেছিল।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

নয়া দিল্লি: প্যাংগং লেকে (Pangong Lake) চিনা সেতু প্রসঙ্গে সংসদের বাজেট অধিবেশনে (Parliament Budget Session) বড় বিবৃতি দিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উপর চিনা সেতুটি বেআইনিভাবে দখল করা জায়গার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, ভারত আশা করে, অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। মোদী সরকারের তরফে সংসদে এক লিখিত জবাবে বলা হয়েছে, “প্যাংগং লেকে চিনের দ্বারা নির্মিত একটি সেতুর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। এই সেতুটি সেই জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে যেগুলি ১৯৬২ সাল থেকে চিনের অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।” সংসদের বাজেট অধিবেশনে শুক্রবার ওই লিখিত জবাবে আরও বলা হয়েছে, “ভারত সরকার কখনই এই অবৈধ দখলদারিকে মেনে নেয়নি।”

চিনা সেতুর বিষয়ে সংসদে কী বলছে কেন্দ্র?

সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে, “সরকার বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ – এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা আশা করি অন্যান্য দেশগুলি ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে।” ৮ মিটার চওড়া এই সেতুটি প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে এক চিনা সেনা ঘাঁটির ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে অচলাবস্থার সময় এখানে চিনা ফিল্ড হাসপাতাল এবং জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থাও দেখা গিয়েছিল।

২০২০ সাল থেকেই অচলাবস্থা

উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই লাদাখ সীমান্ত ঘিরে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়ে রয়েছে নয়া দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে। গালওয়ান নদী এলাকায় এক হিংসাত্মক মুখোমুখি সংঘর্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। উভয় পক্ষের সেই সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের সীমান্তবর্তী এলাকায় ডেপসাং সমভূমি থেকে ডেমচক এলাকা পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার লাল ফৌজের জওয়ানকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এর মধ্যে দফায় দফায় কর্পস কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। আলোচনায় বসেছে শীর্ষ সামরিক আধিকারিকরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী সমাধানসূত্র দেখা যায়নি। এই আলোচনা পর্যায়ের মধ্যেই চিনের এই অবৈধভাবে দখল করে রাখা মাটিতে সেতু নির্মাণকে ঘিরে নতুন করে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে শীতলতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

চিনের সঙ্গে দফায় দফায় যে আলোচনা চলছে, সেই প্রসঙ্গেও আজ লিখিত জবাবে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় সংসদে। বলা হয়, “এই আলোচনায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনটি মূল নীতি রয়েছে এবং সেটিই অব্যাহত থাকবে, প্রথমত, উভয় পক্ষই কঠোরভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে মেনে চলবে, দ্বিতীয়ত, কোনও পক্ষই একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করবে না; এবং তৃতীয়ত, উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্ত চুক্তি অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে।” উল্লেখ্য, ভারত ও চিনের মধ্যে কর্পস কমান্ডার স্তরের শেষ দফা আলোচনা হয়েছিল ১২ জানুয়ারি। ওই বৈঠকে উভয় পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি ফিরিয়ে আনা, অবশিষ্ট সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য কাজ করার বিষয়ে কথা বলেছিল।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

Next Article