
নয়া দিল্লি: সংসদে নিরাপত্তায় বিরাট গাফিলতি। নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে সংসদের ভিতরে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। যদিও পরে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলে। বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন সংসদে লুকিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার, ২২ অগস্ট ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি সংসদের ভিতরে ঢুকে পড়েন। কোনও দরজা দিয়ে নয়, প্রথমে গাছ বেয়ে, তারপর পাঁচিল টপকে সংসদের ভিতরে ঢুকে পড়েন।
পাঁচিল টপকে নতুন সংসদ ভবনের গরুড় দ্বার পর্যন্ত পৌঁছে যান ওই ব্যক্তি। সংসদের ভিতরেই প্রায় ঢুকে পড়ছিলেন, ঠিক তার আগে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে ফেলে।
আধিকারিক সূত্রে খবর, রেল ভবনের দিক থেকে পাঁচিল টপকে নতুন সংসদ ভবনের ভিতরে ঢুকে গরুড় দ্বার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত বছরও সংসদে এমন নিরাপত্তায় গাফিলতি ধরা পড়েছিল যখন বছর কুড়ির এক যুবক সংসদের পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েছিল। সিআইএসএফ জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলে। সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি তাঁর কাছ থেকে।
তার আগে ২০২৩ সালে, ২০০১ সালে সংসদে সন্ত্রাসবাদী হামলার বর্ষপূর্তির দিনই সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি নামক দুই ব্যক্তি জিরো আওয়ার চলাকালীন পাবলিক গ্যালারি থেকে লোকসভা চেম্বারে ঝাঁপ দেন। হলুদ গ্যাস ক্যানিস্টার ছড়িয়ে, স্লোগান দেন তারা। কয়েকজন সাংসদ সাহস দেখিয়ে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে। সংসদের বাইরে থেকেও অমল শিন্ডে ও নীলম আজাদ নামক দুইজনকে আটক করা হয়েছিল। এই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।