Parliament’s Winter Session: অধিবেশনে কেন্দ্রের ‘তুরুপের তাস’ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, কী কী ইস্যুকে হাতিয়ার বানাচ্ছে বিরোধীরা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Nov 29, 2021 | 1:27 PM

Farm Laws Repeal bill to be placed today: বিরোধীদের তরফেও একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি ইস্যু তুলে ধরে। এবারের অধিবেশনে বিরোধীরা কেন্দ্রকে যে ইস্যুগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, তা হল- ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি।

Follow Us

নয়া দিল্লি: আজ থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament’s Winter Session)। প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal Bill) পেশ করা হবে কেন্দ্রের তরফে। শাসক দল বিজেপি (BJP) ও বিরোধী দল কংগ্রেস(Congress)র তরফে হুইপ (Whip) জারি করে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একদিকে কেন্দ্র যেমন একাধিক বিল পেশ করার পরিকল্পনা করেছে, তেমনই বিরোধী দলগুলিও কী কী ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করবে, তার ছক সাজিয়ে নিয়েছে।

২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই শীতকালীন অধিবেশন ২৩ ডিসেম্বর অবধি চলবে। প্রায় এক মাস ধরে চলা এই অধিবেশনে কেন্দ্রের তরফে মোট ২৬টি বিল ও একটি অর্থ বিল পেশ করা হতে পারে। অধিবেশনের নির্দেশিকায় বিভিন্ন অর্ডিন্যান্সে বদল আনার জন্যও তিনটি বিল আনা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এবারের অধিবেশনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচ্য বিষয় হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। গুরুনানক জন্ম জয়ন্তীর দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ঘোষণা করেন, দেশের এক অংশের কৃষক কৃষি আইন নিয়ে বিরোধিতা করায় এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন শীতকালীন অধিবেশনেই আইন প্রত্যাহারের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় এই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে।

আজ, অধিবেশনের শুরুতেই এই বিল পেশ করবেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। বিরোধী দলগুলিও এই বিলকে সমর্থন জানাবেন। তবে একইসঙ্গে বিরোধিতা সত্ত্বেও এই কৃষি আইন আনার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হতে পারে বিরোধীরা।  কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবীতেও সরব হবে বিরোধীরা। বিগত এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে যে ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তুলবে কংগ্রেস।

কৃষি আইনের পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে অন্যান্য যে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পেশ করা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল মুদ্রার রেগুলেশন বিল। এর অধীনে কয়েকটি বাদে দেশে সমস্ত বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রাকে আরবিআইয়ের তৈরি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়াও  বেসরকারি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কেন্দ্র ৫১ শতাংশ মালিকানা কমিয়ে ২৬ শতাংশ করতে চায়, সেই বিষয়েও একটি বিল পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই ও ইডির অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ (সংশোধনী) বিল, নারকোটিক্স ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোটিক সাবসট্যান্স বিলও পেশ করা হবে।

এদিকে, বিরোধীদের তরফেও একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি ইস্যু তুলে ধরে। এবারের অধিবেশনে বিরোধীরা কেন্দ্রকে যে ইস্যুগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, তা হল- ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি। তবে বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। বাদল অধিবেশনে যেখানে বিরোধীরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই সরব হয়েছিল, এবার পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আইন প্রত্যাহারের  সিদ্ধান্ত নিয়েই কেন্দ্রকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশই কৃষক হওয়ায়, তাদের মন জয় করতেই কেন্দ্র আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কৃষি আইন ছাড়াও পেট্রোপণ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুর কাণ্ডে নাম জড়ানো কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস। সীমান্তে চিনের অবস্থান, দখলদারী নিয়ে সরব হতে পারে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মিম।  শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের তরফেও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও অসমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর বিরোধিতা করা হবে। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই পঞ্জাব কংগ্রেসও সরব হয়েছে।

আরও পড়ুন: Omicron : বিদেশ থেকে আগত বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে জমা করতে হবে ১৪ দিনের ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’

নয়া দিল্লি: আজ থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন (Parliament’s Winter Session)। প্রথম দিনেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Farm Laws Repeal Bill) পেশ করা হবে কেন্দ্রের তরফে। শাসক দল বিজেপি (BJP) ও বিরোধী দল কংগ্রেস(Congress)র তরফে হুইপ (Whip) জারি করে লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একদিকে কেন্দ্র যেমন একাধিক বিল পেশ করার পরিকল্পনা করেছে, তেমনই বিরোধী দলগুলিও কী কী ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করবে, তার ছক সাজিয়ে নিয়েছে।

২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই শীতকালীন অধিবেশন ২৩ ডিসেম্বর অবধি চলবে। প্রায় এক মাস ধরে চলা এই অধিবেশনে কেন্দ্রের তরফে মোট ২৬টি বিল ও একটি অর্থ বিল পেশ করা হতে পারে। অধিবেশনের নির্দেশিকায় বিভিন্ন অর্ডিন্যান্সে বদল আনার জন্যও তিনটি বিল আনা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এবারের অধিবেশনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচ্য বিষয় হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। গুরুনানক জন্ম জয়ন্তীর দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ঘোষণা করেন, দেশের এক অংশের কৃষক কৃষি আইন নিয়ে বিরোধিতা করায় এই আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন শীতকালীন অধিবেশনেই আইন প্রত্যাহারের কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভায় এই বিল পাশ হয়ে গিয়েছে।

আজ, অধিবেশনের শুরুতেই এই বিল পেশ করবেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। বিরোধী দলগুলিও এই বিলকে সমর্থন জানাবেন। তবে একইসঙ্গে বিরোধিতা সত্ত্বেও এই কৃষি আইন আনার জন্য কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হতে পারে বিরোধীরা।  কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবীতেও সরব হবে বিরোধীরা। বিগত এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে যে ৭০০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও তুলবে কংগ্রেস।

কৃষি আইনের পাশাপাশি কেন্দ্রের তরফে অন্যান্য যে গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি পেশ করা হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ডিজিটাল মুদ্রার রেগুলেশন বিল। এর অধীনে কয়েকটি বাদে দেশে সমস্ত বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। একইসঙ্গে ডিজিটাল মুদ্রাকে আরবিআইয়ের তৈরি কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়াও  বেসরকারি ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কেন্দ্র ৫১ শতাংশ মালিকানা কমিয়ে ২৬ শতাংশ করতে চায়, সেই বিষয়েও একটি বিল পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই ও ইডির অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ (সংশোধনী) বিল, নারকোটিক্স ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোটিক সাবসট্যান্স বিলও পেশ করা হবে।

এদিকে, বিরোধীদের তরফেও একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গতকালই সর্বদলীয় বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস ১০টি ইস্যু তুলে ধরে। এবারের অধিবেশনে বিরোধীরা কেন্দ্রকে যে ইস্যুগুলিতে আক্রমণ করতে পারে, তা হল- ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির দাবি। তবে বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। বাদল অধিবেশনে যেখানে বিরোধীরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই সরব হয়েছিল, এবার পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আইন প্রত্যাহারের  সিদ্ধান্ত নিয়েই কেন্দ্রকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশই কৃষক হওয়ায়, তাদের মন জয় করতেই কেন্দ্র আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কৃষি আইন ছাড়াও পেট্রোপণ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুর কাণ্ডে নাম জড়ানো কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস। সীমান্তে চিনের অবস্থান, দখলদারী নিয়ে সরব হতে পারে আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল মিম।  শীতকালীন অধিবেশনে তৃণমূলের তরফেও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব ও অসমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়ানোর বিরোধিতা করা হবে। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই পঞ্জাব কংগ্রেসও সরব হয়েছে।

আরও পড়ুন: Omicron : বিদেশ থেকে আগত বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে জমা করতে হবে ১৪ দিনের ‘ট্রাভেল হিস্ট্রি’

Next Article