
আহমেদাবাদ: দুর্ঘটনার দুই দিন কেটে গেল, এখনও বিশবাঁও জলে তদন্ত। উদ্ধার হয়নি পূর্ণাঙ্গ ব্ল্যাকবক্স। শুক্রবার বিজে মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের ছাদ থেকে ব্ল্যাকবক্সের ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (Flight Data Recorder) বা এফডিআর উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা।
কী হবে এই এফডিআর-এ? এর থেকে দুর্ঘটনার সময়ের বিমানের 88টি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি (parameter) বোঝা সম্ভব হতে পারে। সময়, বিমানের উচ্চতা, বাতাসের গতি, ফ্ল্যাপ পজিশন, অটো পাইলট মোড, স্মোক অ্যালার্ম সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে এফডিআর।
তবে কোথায় ব্ল্যাকবক্সের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বা সিভিআর?
ডিজিটাল ভিডিয়ো রেকর্ডার পাওয়া গিয়েছে। এখন ককপিট ভয়েস রেকর্ডার হন্যে হয়ে খুঁজছে উদ্ধারকারীরা। সিভিআর (CVR) এবং এফডিআৎ (FDR) থেকে কী তথ্য পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে ভারতকে সহযোগিতা করছে আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (National transportation safety board)। যদিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে DVR বা ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার। এই যন্ত্র ব্ল্যাক বক্সের অংশ নয়।
একদিকে যখন এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেটিং ব্যুরো (Aircraft accident investigating bureau)-র টিম ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ব্যস্ত, তখন উদ্ধারকাজ এবং তাদের সহযোগিতায় প্রতি মুহূর্তে কাজ করছে আমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের ৪০ জনের টিম।
এই ৪০ জনের উদ্ধারকারী দলে রয়েছেন একজন সুপারিনটেনডেন্টের নেতৃত্বে দশজনের ইঞ্জিনিয়ার দল এবং শ্রমিকরা। এছাড়াও কাজ করছে এনডিআরএফ (NDRF), এসডিআরএফ (SDRF), বিএসএফ (BSF), গুজরাট পুলিশ এবং দমকল বাহিনী।