
বেঙ্গালুরু: পাসপোর্টের তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার আদালতের। এক ব্যক্তির রিট পিটিশন খারিজ করল কর্নাটক হাইকোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়, পাসপোর্টের তথ্য হল ব্যক্তিগত তথ্য, সেই তথ্য যদি থার্ড পার্টির কাছে প্রকাশ করা হয়, তাহলে ওই ব্যক্তির জীবন বা সুরক্ষায় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
গত ১৬ অক্টোবর মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী প্রকাশ চিমানলালের করা পিটিশন খারিজ করে কর্নাটক হাইকোর্ট। তবে ক্রিমিনাল কোর্টের মাধ্যমে তথ্য জানার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
ওই ব্যবসায়ী দক্ষিণ কন্নড়ে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট ১৮৮১-র ১৩৮ ধারার অধীনে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চেক বাউন্সের মামলা করেছিলেন। অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এরপর লুকআউট নোটিস জারি করা হয়। এরপরে ২০২৩ সালে ১ ডিসেম্বর মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। পরে ওই দিনই ছেড়েও দেওয়া হয়।
মামলাকারী তথ্যের অধিকার (Right to Information) আইনের অধীনে পাসপোর্টের কপি ও লুকআউট সার্কুলারের কপি দেখতে চান। পুলিশ সুপারের কাছে, মেঙ্গালুরু অফিসে অভিযুক্তকে আটক করা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে চান তিনি।
এসপি অফিসের পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার সেই আবেদন খারিজ করে দেন। আরটিআই আইনের ৮(১)(এইচ) ধারার অধীনে জানানো হয় যে এই তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আরটিআই আইন জেলা পুলিশ অফিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের উপরে কার্যকর হয় না। মেঙ্গালুরুর এসপি অফিসের তরফেও আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে পিটিশনার ২০২৫ সালের ১৯ মার্চ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি সূরজ গোবিন্দরাজের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, পাসপোর্টের মতো তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে এতে থাকা তথ্য ব্যক্তিগত হয় এবং সেই তথ্য যদি অন্য কারোর কাছে প্রকাশ করা হয়, তাহলে তা ওই ব্যক্তি অর্থাৎ পাসপোর্টধারীর অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে। তার জীবনের বা সুরক্ষায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।