
সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেল পতঞ্জলি। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ওষুধ নিয়ে যে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পতঞ্জলি এবং ব্র্যান্ডের প্রমোটারদের উদ্দেশ্যে। এদিন সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলায় পতঞ্জলির পক্ষে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি পূর্বে এই ধরনের বিজ্ঞাপ্ন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের থেকে বিশেষ অনুমতি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) কর্তৃক দাখিল করা একটি আবেদনের পরেই শুরু হয়েছিল মামলা। আইএমএ দাবি ছিল পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে আধুনিক ওষুধের অবমাননা করা হয়েছে। এমনকি ভিত্তিহীন স্বাস্থ্য দাবি করার অভিযোগ ওঠে। আগে আদালত একবার এই ধরনের বিজ্ঞাপনের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পতঞ্জলির প্রোমোটার বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে অবমাননার মামলা শুরু হয়।
মামলা চলাকালীন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে আয়ুষ মন্ত্রণালয় ১৯৪৫ সালের ওষুধ ও প্রসাধনী বিধিমালার ১৭০ নম্বর বিধি বাতিল করে দিলে একটি বিস্তৃত নিয়ন্ত্রক প্রশ্ন ওঠে। ওই বিধি অনুসারে অতিরঞ্জিত দাবি রোধ করার জন্য আয়ুর্বেদিক, সিদ্ধ এবং ইউনানি ওষুধের বিজ্ঞাপন রাজ্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের দ্বারা পূর্ব-অনুমোদিত হতে হবে। ২০২৪ সালের অগস্টে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা বহাল রেখে এই নিয়ম অপসারণের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশও জারি করে। সোমবার, বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং কেভি বিশ্বনাথন সেই আদেশ বাতিল করেন।
এদিন বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, কেন্দ্র কর্তৃক আইনত কোনও নিয়ম বাতিল করার পর আদালত তা পুনর্বহাল করতে পারে না। তিনি বলেন, কোনও নিয়ম পাস হওয়ার পর বিচার বিভাগের তা বাস্তবায়ন বা আইন প্রণয়নের অধিকার নেই। এই নিয়ম অপসারণের বিরোধিতাকারী আইনজীবীরা বলেন, বিভ্রান্তিকর দাবি রোগীদের ক্ষতি করতে পারে। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হবে।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অবশ্য এই নিয়ম অপসারণের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ইতিমধ্যেই একটি আইনগত ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের সাধারণ মানুষের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দেহ করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন যে আয়ুষ পণ্য তৈরির অনুমতি দেওয়ার সময় বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা ‘অন্যায় বাণিজ্য অনুশীলন’ হবে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে আইএমএ আবেদনে চাওয়া সমস্ত প্রাথমিক ত্রাণ সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এছাড়াও, সব পক্ষকে বিধি ১৭০ অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য হাইকোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।