
আজকাল থাইরয়েডের সমস্যা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে। ঘরে ঘরে থাইরয়েডের রোগী। থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলেই নানা রোগ-ব্যধি হয়। আসলে থাইরয়েড হল গলার কাছে অবস্থিত একটি গ্রন্থি, যা হরমোন উৎপাদন করে। এই হরমোনগুলি শরীরের বিপাক অর্থাৎ শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
যখন থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকভাবে কাজ করে না, তখন যেমন কম হরমোন উৎপন্ন হতে পারে, যাকে হাইপোথাইরয়েডিজম বলে অথবা বেশি হরমোন উৎপাদন হতে পারে, যাকে হাইপারথাইরয়েডিজম বলে। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি, দুর্বলতা, ক্লান্তি, দ্রুত হৃদস্পন্দন, চুল পড়া এবং ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে থাইরয়েডকে শরীরের ভারসাম্যহীনতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি নিরাময়ের জন্য, শরীরের দোষের ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলি শরীরের ভেতর থেকে রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগীর উপকার করে।
থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ দিব্যা থাইরোগ্রিট নামে একটি ওষুধ তৈরি করেছে। এই ওষুধটি বিশেষ করে থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে এবং হরমোনের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
দিব্যা থাইরোগ্রিতে কিছু ভেষজ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দিব্যা থাইরোগ্রিতে মূলত ধনে, কাচনার ছাল, সিংহড়া, বহেদা, পুনর্নব, ত্রিকটু, শুদ্ধ গুগ্গুলু জিনিসগুলি থাকে। এটি গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে এবং এর কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমায়, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ক্লান্তি, দুর্বলতা, চুল পড়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়, শরীরের বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘ সময় ধরে নিরাপদে গ্রহণ করা যায় এই ওষুধ।
সাধারণত এটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। সাধারণত দিনে দু’বার ১-২টি ট্যাবলেট হালকা গরম জলের সঙ্গে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে যেকোনও ওষুধ শুরু করার আগে একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনার শরীরের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক ডোজ নির্ধারণ করা যায়।
থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খান। তৈলাক্ত, মশলাদার এবং জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। দৈনন্দিন রুটিনে যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। গর্ভবতী মহিলা এবং ছোট বাচ্চাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এটি খাওয়া উচিত নয়।
পতঞ্জলির ওষুধে প্রাকৃতিক ভেষজ ব্যবহার করা হয়, যা শরীরের রোগ নিরাময় করে। এই ওষুধগুলি শরীরে হরমোনের একটি প্রাকৃতিক ভারসাম্য তৈরি করতে সাহায্য করে এবং থাইরয়েডের মতো রোগে দীর্ঘমেয়াদী মুক্তি দেয়।