Patanjali: সুস্থ থাকতে কখন খাবেন? কতটা খাবেন? জেনে নিন…
Patanjali: সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার খাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সকলেই জানেন। আয়ুর্বেদ বলে যে খাবারের মান ঠিক থাকার পাশাপাশি এর পরিমাণ এবং আপনি যে পরিস্থিতিতে খাচ্ছেন, তাও আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বইতে খাদ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সুস্বাস্থ্যের জন্য খাবার খাওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা সকলেই জানেন। আয়ুর্বেদ বলে যে খাবারের মান ঠিক থাকার পাশাপাশি এর পরিমাণ এবং আপনি যে পরিস্থিতিতে খাচ্ছেন, তাও আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। পতঞ্জলির প্রতিষ্ঠাতা রামদেব এবং বালকৃষ্ণের বইতে খাদ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে এখানে তুলে ধরা হল…
সুস্থ ও সবল থাকতে অনেকে ঘি এবং তেল দিয়ে তৈরি জিনিস খাওয়া বন্ধ করে দেন। কারণ তাঁরা হৃদরোগ, স্থূলতা ইত্যাদির ভয়ে থাকেন। অন্যদিকে আয়ুর্বেদ বলে যে খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘি এবং তেল থাকা উচিত। তেল এবং ঘি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং জঠরাগ্নিকেও সক্রিয় করে। এর ফলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যায়। আয়ুর্বেদ বলে যে খাবারে ঘি এবং তেল কমানোর পরিবর্তে, অলসতা ত্যাগ করা উচিত। আপনার খাবার হজমের জন্য শারীরিক কসরত করুন।
অনেককেই বলতে দেখা যায়, বাসি রুটি শরীরের উপকার করে। আচার্য বালকৃষ্ণ এই বইতে বলেছেন, সর্বদা তাজা এবং গরম খাবার খাওয়া উচিত। এই ধরনের খাবার কেবল সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ এবং আপনি এটি সহজেই হজম করতে পারেন। ঠান্ডা এবং বাসি খাবার পুষ্টিকর নয়। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, সংরক্ষণ করা খাবার গরম করার পরও খাওয়া উচিত নয় এবং টিনজাত খাবারও এড়িয়ে চলা উচিত।
আয়ুর্বেদ বলে, কেবল খাবারের স্বাদই নয়, এর রং, সুগন্ধ এবং পরিবেশনের পদ্ধতিও হজম রসকে উদ্দীপিত করে। ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য, খাবার খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করা উচিত। বিশেষ করে যদি কোনও রোগী থাকে, তাহলে খাবারটি সুন্দর করে সাজিয়ে তাঁকে পরিবেশন করা উচিত।
খাবার সুন্দরভাবে পরিবেশন করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই আপনি যেখানে বসে খাচ্ছেন, সেই জায়গাও গুরুত্বপূর্ণ। মনোরম ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসে খাবার খাওয়া দরকার। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ বলেন, পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করা দরকার। মনোযোগ সহকারের খাবার খাওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার সময় অন্য কিছুতে মনোযোগ দেওয়া ঠিক নয়।
জুতো পরে খাবার খাওয়া উচিত নয়। এটা শুধু খাবারকে শ্রদ্ধা করাই শেখায় না, জুতো পরলে পা থেকে তাপ উৎপন্ন হয়। যা হজমে সমস্যা তৈরি করে। খাবার খাওয়া শুরুর আগে অতি সামান্য জল পান করা দরকার। খাবার হাত দিয়ে খাওয়া ভাল। মাটিতে ভালভাবে বসে খাবার খাওয়া উচিত।
খাবার খাওয়ার সময় যেন মন প্রফুল্ল থাকে। মনমেজাজ ঠিক না থাকা অবস্থায় খাবার খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।
আয়ুর্বেদ বলে, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সময়মতো খাবার খাওয়া দরকার। খাবার যাতে ঠিকভাবে হজম হয় তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত সঠিক সময়ে খেতে হবে। খিদে পেলেই খাবার খাওয়া উচিত। দুপুরের খাবার ১২টা থেকে ২টার মধ্যে খাওয়া উচিত। এতে খাবার সঠিকভাবে হজম হয়।
কতটা খাবার খাওয়া উচিত, তাও জানা জরুরি। পেটের এক-তৃতীয়াংশ কিংবা এক-চতুর্থাংশ স্থান খালি রাখা উচিত। একদম পেটভর্তি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এভাবেই খাবার খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিজের বইয়ে লিখেছেন আচার্য বালকৃষ্ণ।

