
কৃষকদের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে পতঞ্জলি। কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি পণ্য কিনে ‘কিসানৃ সমৃদ্ধি যোজনা’র মাধ্যমে তাদের ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়ন করছে। দেশের মহিলা উদ্যোক্তাদের সাহায্য করে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে অবদান রাখছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বা MSME খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের GDP-তে ৩০ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এমএসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী এবং স্থানীয় ব্যবসার প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে পতঞ্জলি গ্রামীণ এবং শহুরে-উভয় উদ্যোক্তাদেরই ক্ষমতায়ন করছে এবং একটি স্বনির্ভর ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।
পতঞ্জলির বক্তব্য, “স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কাঁচামাল কেনার ক্ষেত্রে পতঞ্জলির সবচেয়ে বড় অবদান প্রতিফলিত হয়। কোম্পানিটি কৃষকদের কাছ থেকে ভেষজ, শস্য, তেল এবং অন্যান্য কাঁচামাল সংগ্রহ করে, যার ফলে তাদের আয় বৃদ্ধি পায়। এই পদক্ষেপ কেবল MSME গুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে না বরং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগও বৃদ্ধি করে।”
পতঞ্জলি খাদ্য ও ভেষজ উৎপাদনে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে উঠেছে, যেখানে কৃষক গোষ্ঠী, পঞ্চায়েত এবং স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীগুলিকে সমবায় কৃষিকাজে নিযুক্ত হতে উৎসাহিত করা হয়। এর ফলে শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে।
কিসান সমৃদ্ধি যোজনা কী?
কোম্পানিটি আরও দাবি করেছে যে, কৃষকদের ডিজিটালভাবে ক্ষমতায়নের জন্য পতঞ্জলি ‘কিসান সমৃদ্ধি যোজনা’ চালু করেছে। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকরা মোবাইল অ্যাপের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যাক্সেস পান যা স্মার্ট ফলন বিশ্লেষণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং রিয়েল-টাইম বাজার মূল্যের তথ্য প্রদান করে। এছাড়াও পতঞ্জলি ইনভয়েস-ভিত্তিক টাকা প্রদানের জন্য ফিনটেক কোম্পানিগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে, যা MSME গুলিকে আরও কার্যকরী মূলধন পেতে সহায়তা করে।
পতঞ্জলির দাবি, তারা জৈব চাষের প্রশিক্ষণ এবং ডিজিটাল সরঞ্জামের অ্যাক্সেস প্রদানের মাধ্যমে মহিলা উদ্যোক্তাদের বিশেষ সহায়তা প্রদান করে। এর ফলে গ্রামীণ এবং শহুরে এলাকার মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। স্বদেশী কেন্দ্র এবং আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের মতো পতঞ্জলির উদ্যোগ স্থানীয় উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসা শুরু এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোম্পানির কৌশল কেবল পণ্য বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং স্থানীয় সম্প্রদায়গুলিকে স্বাবলম্বী করে তোলার উপরও জোর দেয়।
পতঞ্জলি বলেছে যে এই উদ্যোগগুলি কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই উৎসাহিত করে না বরং গ্রামীণ ও নগর এলাকার মধ্যে ব্যবধানও কমিয়ে দেয়। কোম্পানির স্লোগান ‘প্রকৃতি কা আশীর্বাদ’ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং আয়ুর্বেদিক মূল্যবোধের প্রচারের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। পতঞ্জলির কৌশল এটিকে ভারতের দ্রুততম বর্ধনশীল FMCG ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে একটি এবং MSME এবং স্থানীয় ব্যবসার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস করে তুলেছে।