
হরিদ্বার: গুরু পূর্ণিমার দিনে বিরাট আয়োজন পতঞ্জলির। বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিব্য যোগ মন্দির সংস্থান অডিটোরিয়ামে পতঞ্জলির কর্তা রামদেব ও সহ-কর্তা আচার্য বালকৃষ্ণের উপস্থিতিতে আয়োজন হয়েছিল এই গুরু পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের।
এই অনুষ্ঠানের মাহাত্ম্য নিয়েও বলতে শোনা যায় তাদের। এদিন বাবা রামদেব বলেন, ‘গুরু পূর্ণিমা এমন একটি অনুষ্ঠান যা সনাতন ধর্মকে আজকের যুগে দাঁড়িয়ে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে। এই দিনটা আমাদের মূল্যবোধ, বৈদিক শিক্ষা, গুরু-শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠা করে থাকে।’ এরপরেই পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, জীবন জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে ডুবে থাকা উচিত। যা একটি আধ্যাত্মিক বিপ্লব আনবে।
রামদেবের সংযোজন, ‘বর্তমানে গোটা বিশ্ব যখন নিজের জাতি-আদর্শের জন্য যুদ্ধে নেমে পড়ছে। সেই সময় এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে সত্য, যোগা ও আধ্যাত্মিকতা। ধরিত্রির বুকে অস্থিরতা বাড়ছে। তবে এই সময়কালে ভারত পারে গোটা বিশ্বকে তার সংস্কৃতি, দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে দিয়ে পথ দেখাতে।’
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পতঞ্জলির সহ-কর্তা আচার্য বালকৃষ্ণও। তিনি বলেন, ‘গুরু-শিষ্য ঐতিহ্যের নির্দশন এই দিন। তবে এর মান তখনই থাকে, যখন শিষ্যরা তাদের গুরুকে যথাযথ সম্মান প্রদান করেন। একজন গুরুর দ্বারা প্রদত্ত শিক্ষাই জীবনের মূল ভিত।’
তাঁর সংযোজন, ‘ভারত বিশ্বগুরুতে পরিণত হবে তার গুরু-শিষ্য রীতির মধ্যে দিয়েই। যা পালিত হয়ে আসছে গুরু পূর্ণিমার মাধ্য়মে।’ এই অনুষ্ঠানে অখণ্ড ভারত নামে একটি বিনামূল্য খাবার প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেখানে আগতদেরকে পাতে খাবার পরিবেশন করেছেন খোদ রামদেবও।